রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)আবার তৃণমূল সরকারের দালালি শুরু করলেন।মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলেন,আবার তৃণমূল সরকারের স্তাবক হিসাবে কাজ শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশন সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। সূচনা ভাষণে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলার প্রশংসা করেছেন। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং সদ্য সমাপ্ত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। রাজ্যপালের এই পরিবর্তিত ভূমিকায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্ষুব্ধ হন এবং চিৎকার করে রাজ্যপালকে থামানোর চেষ্টা করেন।
নবান্ন রাজভবনের মতানৈক্য নতুন কিছু নয়। তবে এদিন রাজ্যপাল রাজ্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি বিধানসভায় বলেন, “আর্থিক অপ্রতুলতা এবং কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার আমাদের গ্রামীণ ভাইদের জন্য কর্মসংস্থান ও আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছপা হয়নি। এছাড়াও, সম্পূর্ণরূপে নিজস্ব তহবিল থেকে কর্মশ্রী ও বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছে। আমি সরকারের প্রাণবন্ত ও সহৃদয় নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমি অত্যন্ত আশাবাদ যে এই রাজ্য সমস্ত ক্ষতিকর ও নেতিবাচক সংকট পরাস্ত করে সামনের দিকে অগ্রসর হবে।”
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল আমি অত্যন্ত গর্বিত যে দুর্গাপূজা, কালীপূজা , দীপাবলি,বুদ্ধজয়ন্তী, গুরু নানক জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তী, ছটপূজা, গঙ্গাসাগর মেলা-সহ অন্যান্য সবকটি প্রধান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে।” যদিও সরস্বতী পূজা নিয়ে যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর মতো দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত কলেজে অশান্তি তৈরি হয়। বাগদেবীর আরাধনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে বারবার দাবি করেছে শাসক শিবির। এই পরিস্থিতিতে বোসের প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
প্রশংসার নামে রাজ্যপালের দালালি শুনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বাভাবিকভাব বিরক্ত হন এবং রীতিমতো চিৎকার করে ওঠেন। কারও কারও মতে, বেশ উদ্ধত ভঙ্গিমায় রাজ্যপালকে চুপ করতে বলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিধানসভায় বসে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সামনে এহেন আচরণ মোটেও শোভনীয় নয় বলেই মনে করছেন প্রায় সকলে।কিন্তু অকুতোভয় বিরোধী দলনেতার সোচ্চার কণ্ঠের প্রতিবাদে বিধানসভার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
1 Comment
Pingback: কলকাতা পুরসভার মেয়রের ঘরের সামনে থেকে আটক বাংলাদেশি যুবক ! - প্রথম খবর