কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর গেস্ট হাউজে পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের!
কোলাঘাটের একটি গেস্ট হাউজে পুলিশের অভিযান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল, যা শুভেন্দু অধিকারী ভাড়া করেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন। এখন, হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই ঘটনার পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কোলাঘাট থানায় দায়ের করা এফআইআরের উপর এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ১৭ জুন পর্যন্ত তদন্ত স্থগিত রয়েছে, এবং ১১ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি সিনহা বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে যদি জরুরি কোনও নির্দেশ প্রয়োজন হয়, তাহলে পুলিশ আদালতে যেতে পারবে।
গত শুক্রবার আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ২০ মে তারিখে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ কোলাঘাটের ওই অফিস এবং অস্থায়ী বাসস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর দায়ের করেছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। আইনজীবীর মতে, অভিযোগ ছিল যে ওই অফিসে বোমা, অস্ত্র এবং নগদ টাকা মজুত ছিল, কিন্তু শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী সেখান থেকে এমন কোনও জিনিস পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছিল, সেটি শুভেন্দুর নয়, বরং সুরজিৎ দাসের সম্পত্তি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি অভিযোগ আসে, তাহলে পুলিশ কি তা খতিয়ে দেখবে না? রাজ্যের দাবি, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং অনেক ঘর তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ ভিতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে গেছে।
বিচারপতি সিনহা শুনে মন্তব্য করেন, শুধু অভিযোগ পেলেই কি পুলিশ চলে যাবে? তারা কি অনুসন্ধান করবে না? কতগুলি ঘটনায় পুলিশ এমন করেছে? এই প্রশ্ন রাখেন তিনি। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি মামলাটির পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন।