আমার প্রাথমিক কাজ শেষ,বাকিটা জনগণের সিদ্ধান্ত ! লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে কি জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী!
মিঠুন চক্রবর্তী সকালে বেলগাছিয়ায় তাঁর ভোট প্রদান করেন। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরোনোর পর, তিনি জানান যে এখন থেকে তিনি কী করবেন। বিজেপির নেতা হিসেবে তিনি নির্দেশ মেনে ৩০ মে পর্যন্ত কাজ করেছেন, এবং এখন তিনি আবার চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় ফিরে যাবেন। রাজনীতি সম্পর্কে আর কোনো কথা বলবেন না তিনি। তিনি আরও জানান, এই প্রচণ্ড গরমে ৪০ মিনিট ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর ভোট দিয়েছেন।
শনিবার সকালে বেলগাছিয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে মিঠুন ভোট দিয়েছেন। বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মিঠুন বলেন, “নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল ৩০ তারিখ (মে) পর্যন্ত। দলের নির্দেশ মেনে আমি তা পালন করেছি। এখন আমি পেশাগত জীবনে ফিরে যাব। শনিবার থেকে আমি আবার ছবির কাজ শুরু করব।” তিনি আরও জানান, এখন থেকে তিনি শুধু ছবির কথা বলবেন, রাজনীতির কথা নয়। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মিঠুন বলেন, “আমি কখনও দুইটি কাজ একসাথে করি না।”
মিঠুন জানিয়েছেন যে, তিনি শনিবার সাধারণ মানুষের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করেছেন। গরমে ৪০ মিনিট ধরে লাইনে অপেক্ষা করেছেন। অনেকে তাঁকে লাইনে এগিয়ে যেতে অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড ময়দানে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় এবং গেরুয়া পতাকা হাতে মিঠুন উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁর দলে যোগদানের পর, সেই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এসেছিলেন। নতুন দলে যোগ দিয়ে, মিঠুন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ হিসেবে জোরালো প্রচার চালিয়েছিলেন, প্রতিদিন চার-পাঁচটি সভা করে। হেলিকপ্টারে চেপে তিনি বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরেছিলেন। তবে, লোকসভা নির্বাচনে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কম সভা এবং রোড-শো করেছেন।
প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের জনসভায় মিঠুন নিজের ছবির সংলাপ উচ্চারণ করতেন, “মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।” ফলাফল ঘোষণার পর, মানিকতলা থানায় ‘সিটিজেন্স ফোরাম’ নামে একটি তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন মিঠুনের বিরুদ্ধে এই সংলাপ বলার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ ছিল যে, তার বক্তব্যে হিংসা ছড়ানোর উস্কানি ছিল। বিজেপির জয়ী এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার জন্য ওই সংলাপকে দায়ী করা হয়। পরবর্তীতে, মামলাটি আদালতে গড়ায়। মিঠুন এফআইআর খারিজের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন এবং আদালত তাকে তদন্তে সহায়তা করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ তাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শেষ পর্যন্ত, বিচারপতি কৌশিক চন্দ মিঠুনকে ‘স্বস্তি’ দেন। এরপর চলতি লোকসভা ভোটের প্রচারে মিঠুন ওই সংলাপ কম বলেন এবং ভোট দেওয়ার পর তিনি জানান যে তিনি আবার নিজের ছবির কাজে ফিরছেন।