পহেলগাম হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছিল। এতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। সেনাবাহিনী ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করতে সক্ষম। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল ভারত। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সেই অভিযান প্রসঙ্গেই পাকিস্তানকে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এ (INS Vikrant) নৌসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ,১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন রাজনাথ সিং তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সেই সময়ে ভারতীয় নৌসেনা সক্রিয় হওয়ার পরই পাকিস্তান দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল (পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান, যা বর্তমানে বাংলাদেশ)। ভারতের নৌসেনা যদি বাকি দুই বাহিনীর সঙ্গে এই অভিযানে অংশ নিত, তাহলে পাকিস্তান হয়তো ৪-৫ টুকরো হয়ে যেত। তবে তাঁরা না থাকলেও, শুধু স্থলসেনা ও বায়ুসেনার কার্যক্রমেই পাকিস্তানের ভূমি কাঁপিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
- আরও পড়ুন — ২২ এপ্রিলের পেঁহেলগামের হত্যার জবাব পাকিস্তানকে ২২ মিনিটে দিয়েছে ভারত, ২২ মে-তে বললেন নরেন্দ্র মোদী!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে এই অভিযানের প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও সক্রিয় রয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যদিও পাকিস্তান বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, মোদী পরিষ্কার করেছেন যে, পড়শি দেশের সঙ্গে আলোচনা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়েই হতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরেও একই মনোভাব ফুটে উঠেছে।
রাজনাথ সিং নৌসেনার আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর বলেন, পাকিস্তানের উচিত তাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসের শিকড় নির্মূল করা। যদি তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়, তবে প্রথমে হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। তবে পাকিস্তান কখনও স্বীকার করে না যে এই দুই সন্ত্রাস তাদের সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে রয়েছে।