পাকিস্তানের অনুরোধ বা চাপেও ভারতের অবস্থান নড়বে না। সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কোনওভাবেই ভারতের মনোভাব পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, কাশ্মীর প্রসঙ্গে একমাত্র আলোচ্য বিষয় হতে পারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানের সরে যাওয়া। উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রতি ইসলামাবাদ ভারত সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল না করার জন্য আবেদন জানিয়েছে।
সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের ফলে পাকিস্তানে অভূতপূর্ব সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও পানি সংকট কোথাও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মানুষ তীব্র পানিশূন্যতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই অভাবনীয় সংকট থেকে মুক্তির জন্য পাকিস্ত আবার ভারতের কাছে কাকুতি-মিনতি শুরু করেছে। তবে ইসলামাবাদের অসংখ্য অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো সমাধান হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জয়শংকর। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত। যতদিন পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে ততদিন এই চুক্তি কার্যকর হবে না।”
- আরও পড়ুন – পাকিস্তানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ভারতের ব্রহ্মস,উত্তর প্রদেশে ব্রহ্মস মিসাইল এর নতুন ইউনিট উদ্বোধন !
বিদেশমন্ত্রীর মতে, কাশ্মীর ইস্যুতে একমাত্র একটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে, যা হল বেআইনিভাবে দখল করা পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে মুক্ত করার প্রসঙ্গ। নয়াদিল্লি শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। জয়শংকর আরও উল্লেখ করেন, যারা ৭ মে ভারতের সঙ্গে কোনও আলোচনায় আসতে চায়নি, তিনদিনের মধ্যেই তারাই আলোচনার টেবিলে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, কারা সংঘর্ষবিরতি চেয়েছিলো । তবে সংঘর্ষবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি জয়শংকর।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরই নয়াদিল্লি সিন্ধু চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এর পর ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে এবং পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এতে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে নয়াদিল্লি সংঘর্ষবিরতিতে সম্মতি জানালেও সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ইসলামাবাদের অনুরোধ সত্ত্বেও নয়াদিল্লি সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না।