অপারেশন সিঁদুরে ভারত শুধু জঙ্গিদের আস্তানাই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাও প্রকাশ করেছে। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন এবং এর সফল আক্রমণ প্রমাণ করেছে যে ভারতের অগ্নিশক্তি এখন শত্রুদের একটি অজেয় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকেভাবে ধংস করেনি, বরং পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোরও বড় ক্ষতি করেছে। সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ইহম্মদের সদর দফতরে একটি সুনির্দিষ্ট আক্রমণের মাধ্যমে। প্রতিরক্ষা সূত্র অনুযায়ী, এই আক্রমণে ব্রহ্মস এয়ার-লঞ্চড ক্রজ মিসাইল (ALCM) ব্যবহার করা হয়েছিল, যা Su-30MKI যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয়েছিলো ।
রাজস্থানের বিকানের সেক্টরে পাওয়া ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের বুস্টার এবং নোজ ক্যাপ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে এই আক্রমণে ব্রহ্মস সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই দুটি অংশ সাধারণত উৎক্ষেপণের পরপরই আলাদা হয়ে যায়, যা নিশ্চিত করে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে হামলা ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এই অভিযানে ভারত ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে এবং পাকিস্তান ব্রহ্মসকে আটকাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বাহাওয়ালপুর, শিয়ালকোট এবং পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে সফল আক্রমণ চালিয়েছে।
- আরও পড়ুন —মাঝ আকাশেই চুরমার পাকিস্তানের ছোঁড়া ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন-মিসাইল , S-400 ‘সুদর্শন চক্র’ বাঁচাল ভারতকে!
সবচেয়ে বড় আক্রমণটি বাহাওয়ালপুরে ঘটে, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হামলাগুলির মধ্যে একটি। এই স্থানটি জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদর দফতর পরিচিত। পাওয়া ধ্বংসাবশেষ এবং হামলার নির্ভুলতা ইঙ্গিত করে যে এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪৫০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি, এর বর্ধিত পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। এর গতি সুপারসনিক, ম্যাক ২.৮ থেকে৩.০। এটি স্থল, সমুদ্র সাবমেরিন এবং আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য। এর নির্ভুলতা এতটাই উন্নত যে শত্রুর প্রতিরক্ষাকে অতিক্রম করে সরাসরি লক্ষ্যস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এতে একটি উন্নত গাইেডড সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। এটি ২০০-৩০০ কেজি উচ্চ বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও ব্রহ্মস এয়ার-লঞ্চড ক্রজ মিসাইল থামাতে ব্যর্থ হয় এবং এর মাধ্যমে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দতর ধ্বংস করা হয়।
ভারত-পাক সংঘাত আবহেই আজ উত্তর প্রদেশে এই ব্রহ্মস এয়ার-লঞ্চড ক্রজ মিসাইল এর নতুন ইউনিটের উদ্বোধন। লখনউয়ে ‘ব্রহ্মস’-এর নতুন ইউনিটের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কি বললেন দেখুন