ভারতে থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা! জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হানায় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বিধায়ক। বৃহস্পতিবার অসম এআইইউডিএফ-র বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর বিধায়ক আমিনুল ইসলাম জঙ্গিদের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলেন। কার্যত পাকিস্তানের পক্ষেও সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বক্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োর ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে এবং নাগাঁও জেলার বিধায়কের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।
বিধায়কের মন্তব্যের পর এআইইউডিএফ দলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে দূরত্ব বজায় হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জান হয়েছে যে, এই মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে বিধায়কের ব্যক্তিগত মতামত এবং দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এআইইউডিএফের সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলও বলেছেন, “আমিনুল ইসলামের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন দেশের ও সরকারের পাশে থাকার সময়। জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। এই জঙ্গিরা ইসলামের নিয়ম লঙ্ঘন করছে।”
তিনবারের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম তাঁর এই ধরনের মন্তব্য মেনে নেওয়া হবে না মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ওই বিধায়ককে আদালতে পেশ করা হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, “যারা নিরীহ মানুষের নির্মম হত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়ার বা হালকা করার চেষ্টা করছেন, তারা বাক্স্বাধীনতা ব্যবহার করছেন না বরং দেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান করছেন।” তিনি আরও ঘোষণা করেছেন যে, ২৬ জন মৃতের প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।