হটাৎ করে শনিবার বিকেল চারটের পরে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এর পরেই নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায় । কেন ইস্তফা দিলেন বিপ্লব? আর এর পরে কে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন?
ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বইচ্ছায় ইস্তফা দেননি বিপ্লব দেব (Biplob Deb)। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ত্রিপুরা বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক বসতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই পরের মুখ্যমন্ত্রীর নাম স্থির করে ফেলেছেন। পরিষদীয় দল সেই নামে সিলমোহর দেবে।উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাকেই বেছে নিতে পারে বিজেপি। তবে কেউ কেউ ভাবছেন যিষ্ণুকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হতে পারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি মানিক সাহাকে।
বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে অনেক বারই বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তিনি । তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এক বার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি থাকবেন কি না, তা ঠিক করতে গণভোট দরকার বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এ কারণে বেজায় চটেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এ বার কেন তাঁকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হল, তার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী বছর হতে চলা ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিপ্লব দেব কে মুখ করে লড়তে চাইছে না বিজেপি। সেই কারণেই সময় থাকতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিপ্লবের বিভিন্ন মন্তব্য রাজ্যে দলের সংগঠনেও প্রভাব ফেলছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই সব কারণেই বিপ্লবকে সরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন কোনও ‘সর্বজনগ্রাহ্য’ মুখ নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি।