চিনের উহান গবেষণাগার, যা করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য বিশ্বজুড়ে ‘কুখ্যাত’, সম্প্রতি ‘ন্যানোভ্যাক্সিন’ নামে একটি মহৌষধ তৈরি করেছে।
করোনা বর্তমানে অতীত হয়েছে। তবে, গবেষকরা এখনও এই সম্ভাবনা নাকচ করেননি যে ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে মহামারীর নতুন রূপ নিয়ে ফিরে আসতে পারে। তবে, চিনের একটি গবেষণাগার জানিয়েছে যে, এমন ঘটনা ঘটলেও, তারা এখন পূর্ণভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। কারণ, সম্প্রতি তারা ‘ন্যানোভ্যাক্সিন’ নামে একটি করোনার মহৌষধ তৈরি করেছে, যা ওমিক্রন এবং ডেল্টার মতো পুরানো রূপ এবং ভবিষ্যতের আরও ভয়াবহ রূপের করোনাভাইরাসের সাথেও লড়াই করতে সক্ষম হবে।
চিনের গবেষণাগার ‘উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’ করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বিশ্বের দৃষ্টিতে এসেছিল। উহান ইনস্টিটিউট করোনা পর্বের আগে বাদুড় থেকে ছড়ানো ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিল। অভিযোগ ছিল, সেই সময় গবেষণাগার থেকেই করোনার জীবাণু বেরিয়ে এসেছে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তদন্ত করে জানায় যে, উহান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’। তবুও উহান নিয়ে বিতর্ক থেমে থাকেনি।
বিতর্কের পরও উহান করোনা নিয়ে গবেষণা বন্ধ করেনি। চীন সরকারের নির্দেশনা ও সমর্থনে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গেছে। উহান দাবি করেছে যে, তারা একটি ‘সর্ব করোনানাশী’ টিকা তৈরি করেছে, যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যতের বিভিন্ন ‘মিউটেশন’কেও পরাজিত করতে সক্ষম হবে।
নতুন এই ‘ন্যানোভ্যাক্সিন’ নাকের মাধ্যমে নেওয়া যাবে। উহান গবেষণাগার জানিয়েছে, এই টিকা করোনাভাইরাসের এপিটোপ, ফেরিটিন এবং একটি রক্তকণিকার প্রোটিনের সংমিশ্রণে তৈরি। এতে তৈরি ‘ন্যানোপার্টিকেল’ দীর্ঘমেয়াদি এবং শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ‘এসিএস ন্যানো’ নামক মেডিক্যাল জার্নালে এর প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।