কালীঘাটে ডেকে সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে ফের জটিলতা তৈরী করলো মমতা ব্যানার্জী ! সেই দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা!
দীর্ঘ ৩৫ দিনের কর্মবিরতির পর, অবশেষে আশার আলো দেখা গেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে কালীঘাটে ৩০ জন চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল পৌঁছেছেন। তার আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এখন সবার দৃষ্টি আলোচনার ফলাফলের দিকে। এদিন কালীঘাটে বাস থেকে নেমে আন্দোলনকারীরা তাদের পাঁচটি দাবির প্রতি অনড় থাকার কথা স্পষ্ট করে দেন, যেখানে কোনও সমঝোতার সুযোগ নেই। তারা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে চান এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে ন্যায়ের দাবি জানান।
আজকের এই সভা নিয়ে কালীঘাট জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। প্রথমে, সব চিকিৎসকদের নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপর, ‘হিউম্যান চেইন’ গঠন করে চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি প্রবেশ করেন। জানা গেছে, কারো ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, তবে চিকিৎসকদের মূল দাবি ছিল বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং। সূত্র অনুযায়ী, জুনিয়র চিকিৎসকদের সরাসরি সম্প্রচারের দাবি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, মমতা ব্যানার্জীর পক্ষ থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান করছি। মুখ্যসচিব এসেছিলেন, আমরা তাঁকে বলেছি যে সরাসরি সম্প্রচার আবশ্যক। তিনি জানিয়েছেন, এটি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং এখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। বারবার আলোচনা করার পরেও তিনি জানান যে এটা সম্ভব নয়।”জুনিয়র চিকিৎসকরা এক ঘন্টা ধরে মমতা ব্যানার্জীর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছেন।
এদিন, অভয়ার মৃত্যুর ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে মিছিলে পা মেলান নির্যাতিতার বাবা-মা। শনিবার বিকেলে নাটাগড়ের নির্যাতিতার বাড়ির সামনে থেকে তারা মিছিল শুরু করেন, যোগ দেন আরও অনেক মানুষ। মিছিলটি সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়।
নির্যাতিতার মা বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তা খুবই ভালো। আমরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এটি শুভ বুদ্ধির লক্ষণ। আমরা চাই, ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে তারা আলোচনায় বসুন এবং সমস্যার সমাধান করুন,’ মন্তব্য করেছেন অভয়ার মা।
অভয়ার মা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এখনও পরিষ্কার করেছেন যে দোষীরা শাস্তি পাবে। এমন কথা বললে কি আশা রাখা যায়? আমরা দেখছি যে পুলিশ ও প্রশাসন সবাই দোষী। তবুও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, যদি কেউ দোষী হয়… এটা আমার কাছে খুবই অসন্তোষজনক। আমি আশা করি মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন।