বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষকে রক্ষা করার জন্য এই রায়ের আমি কৃতজ্ঞ। এই রায় মমতা সরকারের জন্য একটি বড় আঘাত এবং রাজীব কুমারের জন্যও অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।
জরুরি ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত (Waqf law Protest-Calcutta High Court Order) মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ প্রদান। ধারণা করা হচ্ছে, আজ শনিবার রাতেই উত্তেজনা পূর্ণ এলাকাগুলিতে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এই রায় প্রকাশ্যে আসার পর আদালত এবং বিচার ব্যবস্থাকে (Calcutta High Court Order) ধন্যবাদ জানান বিরোধী দলনেতা।
একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এই রায় বাংলার মানুষের জন্য, বিশেষ করে হিন্দুদের জন্য একটি বড় জয়। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, মমতা সরকারের জন্য এই রায় এক বড় আঘাত, এমনকি রাজীব কুমারের জন্যও। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও ৭ কোম্পানি বিএসএফ মোতায়েন করা হচ্ছে। ধুলিয়ান, সুতি এবং সামশেরগঞ্জ এলাকায় মোতায়েন করা হবে। শুক্রবারের ঘটনার পরই ২ কোম্পানি বিএসএফ সেখানে মোতায়েন করা হয়। সূত্রের খবর, সেখানে আরও ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের পক্ষ থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এর পরেই বিপুল সংখ্যক এই বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সূত্রের খবর অনুযায়ী , তিনি রাত উত্তেজনাপূর্ণ এলাকাগুলি পরিদর্শনে যেতে পারেন। পাশাপাশি, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও তার বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জেলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেই সূত্রে, শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন কংগ্রেস নেতা। জানা গেছে, পুরো পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ বিল পাশ হলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে আগেই অনুমান করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, “মানুষ ভীত এবং সন্ত্রস্ত। সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট দেখে আমরা আশঙ্কা করছি যে ওয়াকফ বিল নিয়ে মুর্শিদাবাদে আবারও অশান্তি দেখা দিতে পারে।”