এনআরসি নিয়ে উত্তেজনা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গেছে। তবে ভুয়ো ভোটার নিয়ে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবারও এনআরসি চালু করার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক রাজ্যের উদাহরণও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর বেআইনি ভোটার রয়েছে ,তা না হলে শাদ রাদির মতো জঙ্গি ভোট দিলো কীভাবে? তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডে, গুজরাটে এনআরসি হয়েছে। মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। এনডিএ শাসিত রাজ্যে এনআরসির কাজ চলছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আমি মনে করি সমস্ত দল মিলে এনআরসির দাবি তোলা দরকার। উত্তরাখণ্ড করেছে, গুজরাট করেছে, অন্যান্য রাজ্য করছে, মহারাষ্ট্র শুরু করেছে কাজ,আসুন মিলে বাংলাতেও শুরু করি । আপনাকে আমি জিজ্ঞাসা করি শাদ রাদি কিভাবে ভোট দিল! হরিহরপাড়া থেকে এসটিএফ অসম গ্রেফতার করেছিল, বাংলার পুলিশ নয়, সে দুবার ভোট দিলো । বাংলাদেশের জঙ্গি সে কিভাবে দুবার ভোট দিল? স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে অবৈধ ভোটার আছে। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই।
এদিকে ভোটার তালিকায় একের পর ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলছে। বঙ্গের ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের ভোটারের নাম। স্থানীয় লোকজনও চিনতে পারছেন না এরা কোথাকার। অথচ স্থানীয় ভোটার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।
একই ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক ভোটারের নাম। হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে ভোটারের সংখ্যা। কীভাবে এত ভোটার এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি, এ বিষয়ে স্থানীয় স্তরে ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে, যারা ধরে তারা কেউ মুর্শিদাবাদের, কেউ শিলিগুঁড়ির কাছের বাসিন্দা।
তবে এর আগেও এনআরসি বিভিন্ন দাবি তুলেছিলো বিজেপি নেতৃত্ব।
এর আগে সেই সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, সিএএ এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই।… কাউকে দেশ থেকে বের করা হবে না!
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, “বিজেপি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বেআইনি ভোটার খোঁজার নামে প্রকৃতদের হয়রানি করা হবে। আমরা বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।”
তবে গত বছরের মার্চ মাসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপির খেলা হচ্ছে হিন্দুতে হিন্দুতে ভাগ করে দেওয়া, মুসলিমে মুসলিমে ভাগ করেয়া বলুন আফগানিস্তান কীভাবে এল মায়ানমার কেন এল না? এটা তো ভারতের বর্ডার । যেগুলো ভারতের বর্ডার সেগুলো হল না। সব কিন্তু রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবে। এই ক্যা এনআরসির সঙ্গে যুক্ত মনে রাখবেন। এটি রাজনৈতিক খেলা। এর পরে আসবে এনআরসি। বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই এনআরসি(NRC) বিরোধী মনোভাবের জন্য শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গিদের মদতদাত্রী হিসাবে চিহ্নিত করে প্রমান গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন। তাই এবার এনআরসির করতে শুভেন্দু অধিকারীর তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে মোকাবিলা করবে তা দেখার বিষয়।
দেখুন কি বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!