রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত বর্তমানে মধ্যবঙ্গে সাংগঠনিক সফরে আছেন। এর আগে তিনি দক্ষিণবঙ্গে সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অখিল ভারতীয় বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন। তাঁর সফর প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে নজর কাড়ছে।
আরএসএস-এর সাংগঠনিক পরিকল্পনা ভবিষ্যতে যে কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য শিরপীড়ার কারণ হতে পারে। শতবর্ষ উপলক্ষে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আরএসএস গ্রামপঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ইউনিট গড়ার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়াও, সংঘ পুরনো সদস্যদের সক্রিয় করতেও হিন্দুতবাদ সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত, নিপীড়িত হচ্ছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু,দেশদ্রোহিতার অভিযোগে সেখানে কারাবন্দি। সংঘের নেতৃত্বের মতে, ১৯৪৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশে হিন্দুরা পথে নেমে নিয়মিত প্রতিবাদ করছে। পালিয়ে না এসে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এপার বাংলায়। এরই মধ্যে এই রাজ্যে সফর করছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সংঘের পুরনো সদস্যদের আলাপ-আলোচনা বৈঠক করেছেন। তাঁদের সক্রিয় করতে সচেষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় বলেন, “সংঘের শতবর্ষ পূর্ণ হবে আগামী বিজয়া দশমীতে। পুরনো স্বয়ংসেবকদের সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা অনেক আগে কাজ করেছেন এবং এখনও কাজের উপলব্ধি আছে, বিভিন্ন কারণে সক্রিয় নেই, তাঁদের সক্রিয় করা হচ্ছে। পুরনো স্বয়ংসেবকরা যারা নিষ্ক্রিয় হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে বার্তা বিনিময় ও গল্প হয়েছে, তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়েছে। যাঁরা অন্যান্য সংগঠনে আছেন কিন্তু সংঘ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন এবং সংঘের কাজ কীভাবে করতে হয় জানেন, তাঁরাও সংঘের কাজ করেছেন। তাঁদেরও ডাকা হয়েছিল। মোদ্দা কথা আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
তবে পুরনো সদস্যদের সক্রিয় করা শুধু নয়, পাশাপাশি সংগঠনকে তৃণমূল স্তরে নিয়ে যেতে বিশেষ পরিকল্পনা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS)। শুক্রবার বর্ধমানে আরএসএসের মধ্যবঙ্গ কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে। এর আগে বর্ধমান টাউন হলে জেলা পর্যায়ের অফিস। আগামিকাল বর্ধমানের সাঁই কমপ্লেক্সে জনসভা করবেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) । বিগত কয়েক বছরে এই রাজ্যে আরএসএসের শাখা বেড়েছে , লাফিয়ে বাড়ছে সদস্যসংখ্যা। দক্ষিণবঙ্গ উত্তরবঙ্গ ছাড়াও মধ্যবঙ্গে শক্তিশালী করা হচ্ছে সংগঠন ।
কীভাবে সংগঠনের খোলনোলচ বদলাতে শুরু করেছে আরএসএস? বিপ্লব রায় বলেন,এবার গ্রামীণ ক্ষেত্রে গ্রামপঞ্চায়েত ও পুরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড ভিত্তিক শাখা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে পঞ্চপরিবর্তনের কথাও ভাবা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে সামাজিকয়নই সংঘের লক্ষ্য।”
একদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) জ্বলন্ত ইস্যু, অন্যদিকে আগামী ২০২৬-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের টানা ১০ দিনের এই বাংলা সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সংঘ এই কর্মসূচিকে সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বলেই জানিয়েছে।
2 Comments
Pingback: প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি দূর করতে কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন। - প্রথম খবর
Pingback: আমেরিকার কাছ থেকে ১৮২ কোটি টাকা নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তিগুলিকে ভারতে অনুপ্রবেশের পথ করে দিয়