প্রখ্যাত ভাগবত পাঠক হিরণ্ময় গোস্বামীর ওপর হামলা হয়েছে। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার ধরম গ্রামে ভাগবত কথা শেষে তিনি যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন হটাৎ ৩ -৪ জন দুর্বৃত্ত তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ধরে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে জখম করে। এমন দুর্বৃত্তরা হিরণ্ময় গোস্বামীর জটা কেটে দেয়। তিনি চিৎকার করতেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাকে দ্রুত ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে তমলুক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই সন্ন্যাসীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে এক সারিতে বসিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন ওপারে চিন্ময়প্রভু ,আর এপারে হিরণ্ময়প্রভু। হিরণ্ময় গোস্বামীর উপর ‘মমতা ব্যানার্জির পালিত জেহাদী দুষ্কৃতীদের’ হামলার নিন্দা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির অভিনেতা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন , ‘পশ্চিম মেদিনী জেলার ধারামপুর গ্রামে শ্রদ্ধেয় ভাগবত পাঠক শ্রী হিরণ্ময় গোস্বামী মহারাজের ওপর জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তাঁকে প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। প্রথমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত হয়েছে এবং তাঁর পবিত্র জটা বলপূর্বক কেটে ফেলা হয়েছে। এর আগে, তাঁর ভাগবত পাঠের সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কিছু অনুসারী দাবি করেছিলেন যে “ভারত মাতা কি জয়,” “হিন্দু সনাতন ধর্ম কি জয়,” “গৌ মাতা কি জয়” এবং “জয় শ্রী রাম”—এই স্লোগানগুলো উচ্চারণ করা যাবে না। কিন্তু তিনি এই অন্যায্য এবং অন্যায় নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রদ্ধেয় মহারাজের উপর এই নৃশংস আক্রমণ চূড়ান্ত প্রতিহিংসামূলক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কদর্য ভোট ব্যাংক রাজনীতির ফলশ্রুতি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, যা বাংলার হিন্দুদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কার্য্যকর্তা ওনার পাশে আছি। পশ্চিমবঙ্গের পঙ্গু প্রশাসন যদি আক্রমণকারী জেহাদীদের বিরুদ্ধে সত্ত্বর ব্যবস্থা না নেয়, আমরা তাঁর অপমানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দেব।