মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার (২৬/১১) মূল পরিকল্পনাকারী তাহাউর রানাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের পর দিল্লিতে আনা হয়েছে। দিল্লি পৌঁছানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে রানাকে দিল্লিতে আনা হয়েছিল। তাহাউর ভারতে পৌঁছানোর পর, এনআইএ তার বিবৃতিতে বলেছে যে রানার প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট আবেদন খারিজ করার পর, মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে ভারতে আনার পথ পরিষ্কার হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বিমানবন্দরে এনআইএ তদন্তকারী দল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে। রানা মূলত শিকাগোর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাসিন্দা এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত একজন কানাডার নাগরিক। বিমান থেকে নামার পরপরই, সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করে এনআইএ তাকে পাতিয়ালা হাউস আদালতে নিয়ে যায়। NIA প্রত্যর্পণের পর রানাকে তাদের হেফাজতে রাখার একটি ছবিও শেয়ার করেছে।

বিদেশ মন্ত্রক (MEA) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি NIA জানিয়েছে যে তারা সমগ্র প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় অন্যান্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। সন্ত্রাসবাদে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার ভারতের প্রচেষ্ট এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারত-মার্কিন প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে এনআইএর কার্যক্রম অনুযায়ী রানাকে মার্কিন যুক্তে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
- আরও পড়ুন — চীন বাদে অন্যান্য দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প !
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মার্কিন বিচার বিভাগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক দপ্তর, ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের জন্য মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস, মার্কিন মার্শাল সার্ভিস, নয়াদিল্লিতে FBI-এর লিগ্যাল অ্যাটাশে অফিস এবং মার্কিন বিদেশ দপ্তরের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইনি উপদেষ্টার অফিসের সক্রিয় সহায়তায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে জরুরি আবেদনসহ রানার বিভিন্ন মামলা এবং আপিল প্রত্যাখ্যানের পর অবশেষে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর প্রত্যর্পণ কার্যকর হয়।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জন্য রানা ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি এবং মনোনীত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এবং হরকাত-উল-জিহাদি ইসলামী (এইচইউজি) এর কর্মীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত হন।