অপারেশন সিঁদুরের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আবারও বড় ব্যর্থতায় পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। পহেলগাঁওয়ে প্রতিশোধ নিতে ভারত Operation Sindoor পরিচালনা করেছে। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সুদর্শন চক্র’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত। সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি শহরে হামলার প্রচেষ্টা চালায়। তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ দেয় এবং আকাশেই পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে। পরদিন সকালে ভারত পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের রাডার ধ্বংস করে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী S-400 Sudarshan Chakra ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং সাথে ছিল ভারতের হারপি ড্রোন।
রাশিয়ার NPO Almaz সংস্থার তৈরি S-400 Sudarshan Chakra ব্যবহার করে পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেই শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান,ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোনের উপস্থিতি শনাক্ত করতে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। শত্রুপক্ষ রাডারকে ফাঁকি দিতে পারলেও, S-400 কে এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। পৃথিবীর দীর্ঘতম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি হিসেবে S-400 কে গণ্য করা হয়।
S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের উপযোগী, ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আাত হানতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিতে দুটি রাডার সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত, যা ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু শনাক্ত ও আক্রমণ করতে পারে। পাশাপাশি, এটি একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে। একবার আঘাত হানার পরেও ১৫ মিনিটে পুনরায় হামলার জন্য প্রস্তুত করা। সিগনাল পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে প্রস্তুত হয়ে যায়।
S-400-এ জ্যামিং প্রযুক্তি প্রতিরোধের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য উন্নত রেডার প্রযুক্তি রয়েছে। একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রও রয়েছে। ভারত, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, বেলারুশের মতো দেশগুলি S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চীন ও পাকিস্তানকে প্রতিরোধ করতে ভারত রাশিয়া থেকে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ক্রয় করেছে। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর এই সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মোট ব্যয় হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ভারত S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পাঁচটি রেজিমেন্ট কেনার চুক্তি করে, যার প্রত্যেকটিতে ৮টি লঞ্চার এবং ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। প্রথমটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, দ্বিতীয়টি ২০২২ সালের এপ্রিলে এবং তৃতীয়টি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে পৌঁছায়।
এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের রাডার সিস্টেম ধ্বংস করতে আজ ইিগ্রেটেড কাউন্টার UAS গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার হয়েছে। পাকিস্তানের এয়ার রাডার সিস্টেম ধ্বংস করেছে ভারতের হারপি ড্রোন।
লাহোর-সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েক স্থানে আকাশ প্রতিরক্ষা রেডার ও সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে লাহোরের একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই হামলার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে ধরা পড়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা রেডার ধ্বংসের মুহূর্তটি। নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে ভারতের ড্রোন, যার ফলে প্রবল বিস্ফোরণে কয়েক ফুট উঁচু দাউ দাউ করে আগুন জ্বলেেছে।