‘হিন্দুরা কখনও এই কাজ করবে না’, ‘এই লড়াই ধর্ম ও অধর্মের লড়াই’—পেহেলগাঁওয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভগবত তিনি আরও বলেন, জঙ্গিদের হামলায় ছাব্বিশটি প্রাণ হারিয়েছে। “এই হামলা ধর্ম ও অধর্মের মধ্যে লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।” একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করান ‘রাজধর্ম’ সম্পর্ক।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, যার ফলে ছাব্বিশ জন পর্যটক নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। যারা কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন, তারা জানান যে সন্ত্রাসীরা বিশেষভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে হত্যা করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরএসএস প্রধান মন্তব্য করেন, “পর্যটকদের ধর্ম যাচাই করে তাদের হত্যা করা হয়েছে। হিন্দুরা কখনো এমন কাজ করতে পারে না।” এরপর তিনি গীতার শ্লোক উল্লেখ করে বলেন, “এই যুদ্ধ ধর্ম ও অধর্মের মধ্যে সংঘটিত।” তিনি আরও জানান, ভগবত গীতায় হিংসার প্রসঙ্গটি এসেছে অর্জুনকে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। অর্থাৎ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেওয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছেন মোহন ভগবত। তিনি বলেন, “রাজার উচিত রাজধর্ম পালন করা…” ।
সঙ্গে এও উল্লেখ করেন, “আমরা কষ্টে আছি আমরা ক্ষুব্ধ। তবে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন।” রাম-রাবণের যুদ্ধেরঙ্গ টেনে মোহনগবত বলেন, “রাম রাবণকে সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাবণ নিজেকে পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এরপর রাম তাকে বিনাশ করেন।” অর্থাৎ, পাকিস্তানকে বারংবার সুযোগ দেওয়ার পরও যে দেশ শুধরাচ্ছে না, সেই বিষয়েই তিনি ইঙ্গিত করেছেন।
সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেছেন, “আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে কেউ আমাদের প্রতি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকানোর সাহস করবে না। আর যদি কেউ তা করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।”
মোহন ভগবত এ দিন পাল্টা প্রত্যাঘাতেরও দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কথায় কখনও-কখনও শত্রুপক্ষকে নিজের ক্ষমতা দেখাতে হয়। অর্থাৎ, এই ঘটনার পর ভারতের উচিত পাল্টা আক্রমণ করার। তিনি বলেন, “ঘৃণা এবং শত্রুতা আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু নীরবে ক্ষতি সহ্য করাও নয়। একজন সত্যিকারের অহিংস ব্যক্তিকে অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। যদি শক্তি না থাকে, তাহলে কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু যখন শক্তি থাকে,তখন প্রয়োজনের সময় তা দেখাতেও হবে।”