শোচনীয় পরাজয়ে রাজধানী হাতছাড়া হয়েছে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় কোনোরকমে আপের প্রাপ্তি স্রেফ ২২ আসন। আর এই ফলাফল ধরে ফের ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করলেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার কোন্নগরে হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, “ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা এবার বুঝুক। জোটের নেতৃত্ব যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেয়, তাহলেই কাজের কাজ হবে।” রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কল্যাণের ভবিষ্যদ্বাণী, “২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৩০টা আসনও পাবে না। ওদের বিরোধী দলনেতা হবে না।”
জাতীয় রাজনীতির ময়দানে অবিজেপি আদর্শের দলগুলিকে একসূত্রে বেঁধে ইন্ডিয়া জোটের মূল কান্ডারী হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আহ্বানে এক ছাদের নিচে এসেছে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), আপ, ডিএমকে-সহ মোট ১৭টি দল। সেই জোটের নেত্রী হিসেবে বারবার উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। শুধু তৃণমূলই নয়, নানা সময়ে কখনও আপ, কখনও আরজেডি, কখনও এনসিপি (শরদ পাওয়ার) সুপ্রিমোরাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেছেন। দিল্লির নির্বাচনী ফলাফলে দলের দীর্ঘদিনের সাংসদ, রাজনীতিতে পোড়খাওয়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতাকে মুখ হিসেবে তুলে ধরার কথা বলেছেন।
কেজরিওয়ালের আপকে ধরাশায়ী করে দিল্লি দল করেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ইন্ডিয়া জোটের শরিক এবার বুঝুক। বুঝেসুঝে ইন্ডিয়া জোট নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেয়, তাহলে কাজের কাজ হবে। আর যদি একটি গাইড লাইন তৈরি হয়, এবং সেটা সবাই মেনে নেয়, তবে কিছু হবে। নাহলে যেমন আছে, তেমনই রবে ।”
ফলাফলের প্রভাব কি বছর এ রাজ বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে? এনিয়ে কল্যাণের জবাব, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কোনও জায়গা।এবার পশ্চিমবঙ্গে ৩০ আসনও পাবেনা,ওদের বিরোধী দলনেতাও হবে না।” শ্রীরামপুরের সাংসদ আরও বলেন, “মমতা পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে করেন, সারা ভারতবর্ষের কোনও মুখ্যমন্ত্রী সেভাবে কাজ না। যার যতই লাফালাফি করা হোক,মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সমর্থন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এবং আগামী দিনেও কমবে না , বরং বাড়বেই। “
1 Comment
Pingback: প্রশংসার নামে তৃণমূলের হয়ে রাজ্যপালের দালালির বিরুদ্ধে শুভেন্দুর তীব্র প্রতিবাদে উত্তপ্ত বি