ভারত-পাক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেন এস জয়শংকর। এই প্রথমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলেন। উল্লেখ্য,কয়েক দিন আগেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি কাবুলে গিয়ে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে কি ইসলামাবাদের ‘শত্রু’ তালিবানের সঙ্গে সমঝোতায় আসছে ভারত?
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে জয়শংকর জানান, ‘আফগান কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী মাওলায়ি আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং তার এই অবস্থানকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে করেছি।’ এক্স পোস্টে আরও উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানি মিডিয়া ভুয়ো খবর ছড়িয়ে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তবে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সেই প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করেছেন।
অন্যদিকে তালিবানের ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন হাফিজ জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, ফোনালাপের সময় জয়শংকরের কাছে আফগান নাগরিকদের জন্য আরও বেশি ভিসার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি চাবাহার বন্দর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যেও প্রভাব পড়েছে। এর ফলে কাবুলের কাছে চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জয়ংকরের ফোনালাপের পর আরও দৃঢ় হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রতি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান বিভাগের ডিরেক্টর আনন্দ প্রকাশ কাবুল সফর করেছেন। সেখানে তিনি তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও ভারত এখনও তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে কি নয়াদিল্লি তালিবানকে কাছে টানার প্রয়াস চালাচ্ছে? প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের প্রেক্ষিতে কি ভারত চাণক্যের প্রাচীন কূটনীতি প্রয়োগ করছে? শত্রুর শত্রুকে কাছে টেনে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা চলছে কি?