মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের পতনের সূচনা হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, তৃণমূল ২০২১ এবং ২০২৪ সালে যে ভোট পেয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মুসলিম ভোটের উপর নির্ভরশীল।
শুভেন্দু এদিন অভিযোগ করেন যে, ৫০০-১০০০ টাকার কাছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আত্মসমর্পণ করেছেন এবং এর পরিণতি যা হওয়ার তা হয়েছে। দেশের মধ্যে দেশের মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছেন, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তার মতে, দুই দেশের মধ্যে লড়াই হলে এমন ঘটনাাভাব, কিন্তু দেশের মধ্যে অত্যন্ত দুঃখজনক। করেন, ২০২১ সালে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যখন অসমে তাঁদের শেল্টার দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও জানান যে, সেই সময় পশ্চিমবের রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়, এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কিন্তু এবার যাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের ভোটার বলে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিজেপি করার কারণে তাঁদের তাড়ানো হয়েছিল। আজ সব হিন্দুদের তাড়ানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি এটিকে সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শুভেন্দুর আশঙ্কা, এরকম চলতে থাকলে আমরা (হিন্দুরা) ৫০ শতাংশের নীচে নেমে যাব। এর মধ্যে অনেক হিন্দু বাবা-মাকে দেখাশোনার জন্য বিয়ে করেন না। অনেকে একটি মাত্র সন্তান নেন। এ সব মিলিয়ে বর্তমানে রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৬৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও কমবে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা যদি এভাবে ৫০ শতাংশের নীচে নেমে যাই, তবে শরিয়া আইন চালু হয়ে যাবে।”
এই রাজ্যে সব ধর্মের সমান অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, সেখানে ইদ উদযাপনে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। এ রাজ্যে ঠিক তার বিপরীত ঘটনা ঘটছে বলে শুভেন্দু দাবি করেন।