রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর, শক্তিকান্ত দাস এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পদে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শনিবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছর তিনি অবসর নেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে।
সালটা ২০১৬, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্কের রীতিমতো সংঘাত শুরু হয়। আরবিআই-এর গভর্নর থেকে ইস্তফা দেন রঘুরাম রাজন। এরপর উর্জিত প্যাটেল দায়িত্বে এলেও শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের সংঘাত থামেনি। উর্জিতের ইস্তফার পর এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ১৯৮০ সালের ব্যাচের আইএএস আধিকারিক শক্তিকান্ত দাসের হাতে। ২০১৮ সালে এই দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৬ বছর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব সামলান তিনি। এই দীর্ঘ সময় শীর্ষ ব্যাঙ্ক সোজা পথে চলতে থাকে। গত ডিসেম্বর মাসে শক্তিকান্তের অবসরের পর অনুমান করা হচ্ছিল যে বড় কোনও পদ দেওয়া হবে তাঁকে। সেই মতো এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের পদে বসলেন মোদির প্রিয় শক্তিকান্ত দাস ।
শনিবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল ট্রেনিং (DoPT)। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পিকে মিশ্র। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের ব্যাচের তামিলনাড়ু ক্যাডারের আইএএস কর্মকর্তা ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় অর্থ বিভাগের সচিব পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী যখন নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখনও শক্তিকান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া তিনি ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্যও ছিলেন। ২০১৭ সালের মে মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালে তাঁকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। দুই দফায় সেই মেয়াদ বাড়ার পর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর গভর্নর পদ থেকে অবসরের পর তিনি প্রধানন্ত্রীর প্রধান সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।