ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছে আমেরিকা। ‘বন্ধু’ মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই তথ্য জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় সময় ভোররাতে মোদী-ট্রাম্প বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প মোদিকে ‘দীর্ঘদিনের ভাল বন্ধু’ বলে সমোধন করেন এবং একটি বই উপহার দেন। দীর্ঘসময় ধরে মোদীর সঙ্গে করমর্দন করতেও দেখা যায় ট্রাম্পকে।
ভারতের জন্য বড় বাণিজ্য চুক্তি
এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘সবচেয়ে সেরা একটি বাণিজ্য রুট তৈরি করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি আমরা। আমাদের তেল ও গ্যাস প্রচুর পরিমাণে কিনছে ওরা। ভারত এবং আমেরিকার জন্য দারুণ বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি আমরা।’
ভারত শান্তির পক্ষে: মোদী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটি যুদ্ধ যুগ নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে সমাধান পাওয়া যাবে না। আমরা শান্তির সকলকে সমর্থন করি। আমরা যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের উদ্যোগকে সমর্থন করি।সাথে সাথে ট্রাম্প ও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের অবসান চাই।’
ট্রাম্প-মোদীর চুক্তি সাক্ষর
ট্রাম্প বলেন, ‘তেল-গ্যাস এবং এলএনজি বিক্রির মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ঘাটতি পূরণ করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আমি শক্তির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি, যা আমেরিকাকে ভারতে তেল ও গ্যাসের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে পুনরুদ্ধার করবে।’
ভারত-আমেরিকার মেগা পার্টনারশিপ
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী বলেন যে, আমেরিকার নাগরিকরা MAGA (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন) সম্পর্কে জানেন এবং ভারতবাসীও ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের পথে এগোচ্ছেন। মোদী বলেন, ‘আমেরিকার ভাষায় এটি মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেন, MIGA। আমেরিকা ও ভারত যখন একসঙ্গে কাজ করে, তখন MAGA ও MIGA একসাথে MEGA পার্টনারশিপ তৈরি করে উন্নতির জন্য আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের বাণিজ্য দ্বিগুণ করবো।’
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান মোদী। মোদীকে বই উপহার দেন ট্রাম্প। বইটির ‘আওয়ার জার্নি টুগেদার’। ২০২০ সালে তাজমহল সফরের ছবি মোদীকে দেখান ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। অর্থ আমেরিকা থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি । সেই অসামঞ্জস্য দূর করতে ভারত আরও বেশি খনিজ তেলেরিকা থেকে কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই শুল্কের অর্থ হল, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, সেই দেশের পণ্যের উপরেও পাল্টা কর চাপাবে আমেরিকা। ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্ক চাপালে নয়াদিল্লিকেও যে ছাড় দেওয়া হবে না, বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখেন ট্রাম্প। ভারতে আমদানিকৃত আমেরিকার পণ্যের শুল্কহারকে ‘খুব বেশি’ বলে আবার দাবি করেন তিনি। বলেন, “ভারত যে হারে শুল্ক চাপাবে, আমরাও সেই হারে শুল্ক চাপাব।”
1 Comment
Pingback: Netflix-কে বড় চ্যালেঞ্জ আম্বানির, তোলপাড় ফেলল নতুন OTT প্ল্যাটফর্ম JioHotstar! - প্রথম খবর