ভারতের জনতাকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে ওয়াশিংটন ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করত! এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অভিযোগ, ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিদেশি রাষ্ট্রগুলি হস্তক্ষেপ করছে। এবং সেখান থেকে অনেকেই ফায়দা তুলছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি এই ঘটনায় তারা মোটেই উপকৃত হয়নি। বরং সন্দেহের তীর গিয়েছে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের দিকে।
- আরও পড়ুন– বঙ্গে ‘২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে বিরাট ‘মাস্টারপ্ল্যান’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) – এর !
বিষয়টি ঠিক কী? ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নেন্ট এফিশিয়েন্সির তরফে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। উল্লেখ্য, দপ্তরের শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ধন কুবের এলন মাস্ক। ওই পোস্টে জানানো হয়, আমেরিকা সরকারের খরচ কাটছাঁট করতে বেশ কিছু অনুদান বন্ধ করা হচ্ছে। বিশ্বের নানা দেশে কোন প্রকল্পগুলি হবে, তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পরেই বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হেলে লেখেন, “ভোটদানে উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার? এটার স্পষ্ট অর্থ, ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। তার ফলে কারা সুবিধা পেয়েছে? শাসক দল পায়নি সেটা হলফ করে বলতে পারি। কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের সঙ্গে মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে মালব্যর দাবি, ভারতের নির্বাচনে সোরসের কালো ছায়া পড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেম। এই সংস্থার যোগ রয়েছে সোরসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের। ওই ফাউন্ডেশনকে বিপুল অর্থ যোগায় মার্কিন সরকারের অন্তর্গত USAID – ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। এই তথ্য তুলে ধরেই অমিত মালব্যর তুলোধুনো করে বলেন , কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তিগুলিকে ভারতে অনুপ্রবেশের পথ করে দিয়েছে।