দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা। সুষমা স্বরাজ ও আতিশি মারলেনার পর আবারও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে এক নারী বসছেন। বুধবার বিজেপির দীর্ঘ মিটিংয়ের পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তার নাম চূড়ান্ত করেছে বিজেপি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে পরবেশ বর্মার নাম উঠে এসেছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানোর জন্য তিনি দৌড়ে প্রথম স্থানে। কিন্তু পরে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে মহিলাকেই রাখা হবে। সেই সময়েই বিজেপ চার জন মহিলা বিধায়কের নাম সামনে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে শিখা রাইও ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্ব রেখা গুপ্তার উপরেই আস্থা রাখে।দেশের দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলেন রেখা গুপ্তা। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখন দিল্লিও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেল। অবশ্য আগের মেয়াদেই দিল্লিতে ছিল আপ সরকার। তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পরে দলের মহিলা মুখ আতিশি মারলেনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছিল আপ।
বণিক সমাজের প্রতিনিধি রেখা একদা সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেত্রী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদের নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। তবে এই প্রথমবার বিধায়ক হলেন তিনি। নয়াদিল্লি আসনে আম আদমি পার্টি (আপ)- প্রধান কেজরিওয়ালকে হারানো প্রবেশ বর্মা বুধবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে রেখার নাম প্রস্তাব করেন। ঘটনাচক্র, ১৯৯৮ সালে দিল্লির ক্ষমতা হারানোর সময়ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন মহিলা নেত্রী— সুষমা স্বরাজ।
- আরও পড়ুন —মমতার সাথে জেহাদী মুসলিম যোগ ! শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবীতে কি ফেঁসে গেলেন মমতা ব্যানার্জী !
প্রসঙ্গত, ২৭ বছর পরে পুনরায় দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৪৮টি আসনে। অন্য দিকে, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। কেজরীওয়াল নিজে নয়াদিল্লি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মার কাছে হেরে গিয়েছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের ১১ দিন পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখার নাম ঘোষণা করল ‘পদ্ম’ শিবির। সুষমা, শীলা দীক্ষিত, আতিশী মার্লেনার পরে দিল্লি পেল চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।