ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে দিল্লিতে শোরগোল। আপের শাসনকালে ব্যাপক অনুপ্রবেশ হয়েছে বলে প্রকাশ্যে এসেছে। নির্বাচনের আগে বেজায় অস্বস্তিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমী পার্টি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তৈরি রিপোর্টে চরম বিতর্ক রাজধানী জুড়ে ।
দিল্লিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও তার আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীরা এসে ঘাঁটি করায় রাতারাতি বিভিন্ন বস্তি ও উদ্বাস্তু কলোনির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে দিল্লিতে পরিকাঠামো, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থায় বোঝা বেড়ে গিয়েছে। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল আম আদমি পার্টি।
জেএনইউয়ের এক আধিকারিক জানান, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চের দৈনন্দিন পঠনপাঠনের অঙ্গ হিসেবে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে এই গবেষণা শুরু হয়। পুরোপুরি গবেষণা শেষ করতে আরও ৯ মাস সময় লাগবে বলে জানান ওই আধিকারিক। যদিও রিপোর্ট প্রকাশের সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন JNUTA। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেও এ ধরনের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল বলে দাবি।
সংগঠনের সভাপতি মৌসুমী বসু বলেন, “এই রিপোর্ট সত্যিই আশর্যজনক। ভোটের ঠিক আগে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে এই উৎকন্ঠা দেখে অবাক লাগছে। রিপোর্ট প্রকাশের সময়কাল নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। মহারাষ্ট্রে ভোটের সময়ও টাটা ইনস্টিটিউ অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিলো । এভাবে ন্যারেটিভ তৈরি সত্যিই সমস্যার। “
জেএনইউয়ের অন্যান্য সমস্ত রিপোর্টও একইভাবে সরকার গ্রহণ করে কি না, সেই প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন মৌসুমী বসু। গবেষণা টিমে রয়েছেন সেন্টার ফর রাশিয়া ও সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের দুই অনুসন্ধান। ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে দিল্লির জনবসতি পাল্টে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এসে বসবাস করছে ,আর এতে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ।