উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ফল বিপর্যয় নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারীর কি উপলব্ধি!
বিজেপির প্রয়োজন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’। শনিবারের উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ‘উপলব্ধি’ প্রকাশ করেছেন। সেদিন রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল গণনা করা হয়েছিল, যেখানে বিজেপি কোনো আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি, এমনকি মাদারিহাটের জেতা আসনটিও ধরে রাখতে পারেনি। সিতাই এবং হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে।
শুভেন্দু জানিয়েছেন, উপনির্বাচনের এই ছয়টি আসন নিয়ে তাঁরা চিন্তা করেননি। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এই উদ্দেশ্যেই তিনি ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’র গুরুত্বের কথা দলের কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, হাতে আর মাত্র এক বছর সময় বাকি রয়েছে।
হাড়োয়ার উপনির্বাচনে দলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও বিরোধী দলনেতা উদ্বিগ্ন নন। শুভেন্দু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ২০২৬ সালের নির্বাচনেও হাড়োয়া থেকে বিজেপি জিততে পারবে না। তাঁর মতে, “হাড়োয়ায় আমরা কখনও জিতিনি, ভবিষ্যতেও জিতব না।” তিনি এই মতামতের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। বিরোধী দলনেতার মতে, হাড়োয়ায় ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার থাকায় সেখানে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা নেই।
বিরোধী দলনেতা সিতাইয়ের বিষয়েও তেমন আশাবাদী নন। তাঁর মতে, সেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার আছেন। ২০২৬ সালের নির্বাচনে তাঁর দল যদিও লড়াই করবে, জয়ের বিষয়ে তিনি সংশয়ে আছেন। অন্যদিকে, বাকি চারটি আসনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলাফলের বিষয়ে শুভেন্দু আত্মবিশ্বাসী।
বিরোধী দলনেতা এই ছয় আসনের উপনির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ভোটের আগে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলায় এবার উপনির্বাচন হয়নি, ২০২৬ সালে নির্বাচন হবে, যা মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের মতো হবে।”