সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর পরপরই তুলসী গ্যাবার্ড আমেরিকার গোয়েন্দা অধিকর্তা পদে নিযুক্ত হন। তিনি হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করেন। মার্কিন গোয়েন্দা অধিকর্তা পদে তাঁর নিযুক্তির পর, নরেন্দ্র মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুলসী গ্যাবার্ডকে লেখা শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু তুলসী গ্যাবার্ডকে আন্তরিক অভিনন্দন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে তার ঐতিহাসিক নিয়োগের জন্য।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তুলসীর হিন্দুমতের প্রতি বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ সবসময় আমাদের মধ্যে গভীর সংযোগের উৎস এবং ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সেতু হিসেবে কাজ করে।’ একসময়ের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তুলসী পরবর্তীতে ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে ওঠেন এবং ট্রাম্প সরকারে আসার পর গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তা হন। এখন তুলসীর দায়িত্বে রয়েছে আমেরিকার ১৮টি গোয়েন্দা এজেন্সি। তুলসী গ্যাবার্ডের প্রতি মোদী বলেন, ‘ভারত সর্বদা তাঁর অটল নেতৃত্ব এবং গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে, তিনি ডিপ স্টেটকে ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করবেন, যা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে কাজ করে- ভারতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গ্যাবার্ডকে এই দায়িত্বে নিয়োগ দিয়ে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘নির্ভীক চেতনা যা তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনকে আমাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কাছে সংজ্ঞায়িত করেছে।’ উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের মাঝে ইউক্রেনকে আমেরিকার সমর্থনের বিরোধিতা করেছিলেন গ্যাবার্ড। এই প্রেক্ষাপটে, তাঁর নতুন দায়িত্ব তাঁকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে। আমেরিকান সামোয়া লুইলোয়ালাতে ১৯৮১ সালের ১২ এপ্রিল জন্ম নেওয়া গ্যাবার্ডের বাবা মাইক গ্যাবার্ড একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন, যিনি একসময় রিপাবলিকান থেকে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং সেনেটরের পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন।