গঙ্গা-তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে কড়া পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র!রাজ্যকে উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করবে কেন্দ্র!
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে গঙ্গা-তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে। রাজ্য সরকারের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই চুক্তি কার্যকর করার প্রচেষ্টা করছে কেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। তবে এই বিষয়ে নিজেদের কৌশল প্রকাশ করতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। পরিষদীয় দল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বিধানসভা অধিবেশনে এই প্রস্তাব আনা হবে।
নবান্ন সূত্রে খবর অনুযায়ী, জলচুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের কারণে এখনই সেখানে যাওয়া কেন্দ্রীয় দলের পক্ষে সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে আলোচনার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কেন্দ্রের কোনও আলোচনা না করার খবর নবান্ন থেকে পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের এই একতরফা নীতি মেনে নিতে নারাজ, এবং বিধানসভায় প্রস্তাব এনে কেন্দ্রকে বার্তা দিতে চায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। তবে এই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূলের কোনও সদস্য। এক নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শাসকদলের কার্যবিবরণী কমিটির সদস্য বলেছেন, “বিধানসভার অধিবেশনে কী বিষয়ে আলোচনা হবে তা কমিটির বৈঠকের আগে বলা যাবে না। আমরা প্রস্তাব দেব, এবং স্পিকার বিবেচনা করবেন। তিনি যদি মনে করেন বিষয়টি আলোচনার জন্য উপযুক্ত, তবেই আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক হবে। তাই এখনই কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা বলা সম্ভব নয়।”
বিধানসভায় বর্তমানে ‘ইন্দো-ভুটান জয়েন্ট রিভার কমিশন অফ মনিটরিং অ্যান্ড কন্ট্রোলিং ফ্লাড সিচুয়েশন’ নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় গত শুক্রবার অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী বলেছেন, “এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের বিচারাধীন এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আলোচনার ক্ষমতা নেই।” বিজেপি পরিষদীয় দলের মতে, শাসকদল তৃণমূল কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে এই প্রস্তাব আনছে। তাদের যুক্তি হল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি একটি সংবেদনশীল আন্তর্জাতিক বিষয়। তারা মনে করে, একটি অঙ্গরাজ্যের সরকারের এই বিষয়ে আলোচনার অধিকার নেই। এই চুক্তি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনিক মহল মনে করছে।