টাটার এক সিদ্ধান্তে ঘুম উড়ে গেলো জিও , এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার !
এই মুহূর্তে টেলিকম জগতে আধিপত্য বজায় রেখেছে জিও আর এয়ারটেল। কিন্তু বিএসএনএল তার শক্তি বৃদ্ধি করলে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলো সমস্যার মুখে পড়বে, তা আলাদা করে কাউকেই বলতে হবে না।
হ্যাঁ, ৩রা জুলাই থেকে Jio, Airtel, এবং Vodafone Idea তাদের প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে. এর ফলে অনেক গ্রাহক বিএসএনএল (BSNL) এর দিকে ঝুঁকছেন।
বিএসএনএল ইতিমধ্যে ১০ হাজার ৪জি টাওয়ার বসিয়েছে এবং ৫জি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা তাদের প্রতিযোগিতায় আরও শক্তিশালী করবে।
সে অনুযায়ী BSNL টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) এর সাথে ১৫,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে TCS BSNL এর জন্য বড় বড় ডেটা সেন্টার স্থাপন করবে এবং ৪জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে. এটি ভারতের প্রথম স্থানীয়ভাবে উন্নত ৪জি নেটওয়ার্ক হবে।
ইতিমধ্যে টাটা দেশের চারটি অঞ্চলে ডেটা সেন্টার তৈরি করেছে, যা ভারতে 4G পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, সারা দেশে প্রায় ৯০০০ এরও বেশি 4G নেটওয়ার্ক ইন্সটল করা হবে। তবে তাদের লক্ষ্য এটি এক লক্ষ পর্যন্ত বাড়ানো।
যদিও Vodafone, Airtel, এবং Jio সমস্ত প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বিএসএনএল (BSNL) এখনো পর্যন্ত তাদের পুরনো রিচার্জ প্ল্যান চালু রেখেছে, যার ফলে অন্যান্য টেলিকম সংস্থার তুলনায় বিএসএনএল বেশ সস্তা। তাই সাধারণ মানুষের বিএসএনএল নেওয়ার প্রতি আগ্রহ ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, টাটা গ্রুপের সঙ্গে বিএসএনএলের হাত মেলানোর ফলে পরিষেবা যে আরো উন্নত হবে, তা বলাই বাহুল্য। এর ফলে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি চাপে পড়ে যাবে।
বিএসএনএলের নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ১০৮ টাকার একটি ‘ফার্স্ট রিচার্জ কুপন’ রয়েছে, যা ২৮ দিনের জন্য আনলিমিটেড কল এবং দৈনিক ১ জিবি ৪জি ডেটা প্রদান করে। যারা সারা বছরের জন্য রিচার্জ করতে চান, তাদের জন্য ২০০০ টাকার একটি প্ল্যান রয়েছে, যা ৬০০ জিবি ৪জি ডেটা এবং আনলিমিটেড কলের সুবিধা সহ এক বছরের ভ্যালিডিটি প্রদান করে। এছাড়াও, এই প্ল্যানে একাধিক থার্ড পার্টি সার্ভিসের সাবস্ক্রিপশনের সুযোগও রয়েছে। এছাড়া, বিএসএনএলের ৩৫, ৭০ এবং ১৫০ দিনের প্ল্যানও রয়েছে।