মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
“তিনি আমার বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন,” এই বক্তব্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “মিডিয়া আমার সাধারণ মন্তব্যকে ‘বিস্ফোরক মন্তব্য’ বলে অভিহিত করে। হাসিনা এবং মমতাকে নিয়ে আমার এক লাইনের মন্তব্যকে মিডিয়া ‘মমতার পাশে তসলিমা’ বলে চালিয়েছে।”
কী ছিল সেই মন্তব্য? হাসিনা যেহেতু ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেননি, তাঁকে পদচ্যুত করা তত সহজ, যতটা মমতা কে পদচ্যুত করা, যিনি ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন। দূর থেকে দেওয়া আমার এই মতামতের সাথে মমতার পাশে থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমার তাঁকে পছন্দ করার কোনো কারণ নেই। তিনি আমার বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন। ‘দুঃসহবাস’ নামে আমার লেখা একটি মেগা সিরিয়াল বিশাল আয়োজনে শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে তিনি আকাশ ৮কে হুমকি দিয়ে চিরতরে এর প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন, পুলিশ পাঠিয়ে দুঃসহবাসের সমস্ত বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছেন। মেগা সিরিয়ালটি হয়তো বছরের পর বছর চলতে পারতো, এবং আমি নিয়মিত আমার জীবিকা নির্বাহের অর্থ পেতাম। কিন্তু তিনি তা ঘটতে দেননি।
একটি বেসরকারি চ্যানেলের নামোল্লেখ করে তসলিমা বলেছেন,, তাদেরও কম ক্ষতি করেননি, মেগাসিরিয়ালটির প্রায় ১০০ এপিসোডের স্যুটিং করে রেখেছিল চ্যানেলটি, তাদের সব টাকা জলে গেল শুধু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কারণেই। তিনি আমার এবং ওই চ্যানেলের এমন বড় সর্বনাশ করেছিলেন কিছু ইসলামী মৌলবাদীকে খুশি করার জন্য। আর কোনও কারণ নেই।
তসলিমা আরও লিখেছেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই পশ্চিমবঙ্গের দরজা আমার জন্য একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন। ভারতের ভিসা আমার হাতে, আমি ভারতের যে কোনও রাজ্যেই ভ্রমণ করতে পারি, শুধু পশ্চিমবঙ্গে ছাড়া। যে কলকাতার জন্য আমি ইউরোপের বাস ত্যাগ করে এসেছি, সেই কলকাতায় আমি ২০০৭ এর নভেম্বর মাসের পর থেকে ঢুকতে পারি না। বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারি না।