ভোটে হেরে শুভেন্দুর কি দাবিকে স্বীকার করে নিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য!
লোকসভা নির্বাচনের কঠিন প্রতিযোগিতার পর, তমলুক কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিচারপতির কাছে। এরপর দেবাংশু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতামত গ্রহণ করেন এবং তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, একুশে বিধানসভা নির্বাচনে দেবাংশুর টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে টিকিট দেয়নি তার দল। কিন্তু এবার তিনি টিকিট পেয়েছেন। তিনি লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে, তমলুক থেকেই বিজেপির টিকিটে ময়দানে নেমেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী, কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি ভোটের পরাজয় নিয়ে ময়নাতদন্ত করার সময় দেবাংশু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পূর্বের সভা সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করেছেন যে তৃণমূলের মধ্যে তাঁর সমর্থক রয়েছে। তমলুক আসনে পরাজয়ের পর, দেবাংশু ভট্টাচার্য শুভেন্দুর ওই দাবিকে স্বীকার করে নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের পরাজয়ের জন্য দলের একাংশকে দায়ী করেছেন।তিনি বলেন, “ভোটের লড়াইয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই জেলায় তৃণমূলের অনেক সদস্যই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন, যা পরাজয়ের একটি কারণ।” দেবাংশু জানান, তিনি যেসব দলের সদস্যরা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং সে বিষয়ে দলের নেতৃত্বকে অবহিত করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে চমকপ্রদ ফলাফল সত্ত্বেও, পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল তার প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। অতীতে তৃণমূলের দখলে থাকা তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা আসনগুলি এবার বিজেপির হাতে চলে গেছে। এই প্রেক্ষিতে, রাজনৈতিক মহলে এটাও আলোচনা হচ্ছে যে, রাজ্যে বিজেপির ফলাফল প্রত্যাশিত না হলেও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের জেলায় তার ‘গড়’ অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়েছেন।