শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখছেন না তৃণমূলেরই মন্ত্রী-নেতারা? ক্ষোভ উগড়ালো কুনাল !
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে নবীন-প্রবীণ নেতাদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পন্থীদের প্রতি তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক পন্থী কুণাল ঘোষ। অন্ধ আনুগত্য দেখানো হচ্ছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কুনাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে কটাক্ষ করেছেন।মানতে চাননি তার বক্তব্য । সুব্রত বক্সী,সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে কুণাল রীতিমতো বিরুদ্ধাচারণ করেছেন।
উলেখ্য TMC দলে অনেক সিনিয়র নেতৃত্ব রয়েছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও তাদের দেখা যায়। শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক সময়ই আক্রমণ করেন। কিন্তু মন্ত্রিসভা ও দলের এক শ্রেণির সিনিয়র নেতৃত্ব চুপ থাকছেন। রাজ্যের মন্ত্রীদের একটা অংশ শুভেন্দুর প্রতি কোনও কড়া মন্তব্যও করছেন না বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কুনাল ঘোষ।
এইসব ক্ষেত্রেই কুণাল ঘোষের বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে শুভেন্দু কুৎসা করছেন আর এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা চুপ করে গা বাঁচিয়ে চলছেন বা গোল গোল কথা বলছেন। নীচু তলার নেতা – কর্মীরা কী শিখবেন এসব নেতাদের থেকে ?
বেশ কয়েক জন সিনিয়র মন্ত্রীর প্রতি যে কুণালদের মনে ক্ষোভ রয়েছে,একথাও কুনাল কথায় কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছিলেন। কুনাল বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা নাম। তাকে কীভাবে হারানো সম্ভব? যারা ওখানে দায়িত্বে ছিলো ,সেখানে কী করছিল? এই নেতৃত্ব আগামী দিনে দল চালাবেন নাকি ?
এদিন সুব্রত বক্সীর বক্তব্যকেও কার্যত কটাক্ষ করছে কুণাল৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন সুব্রত বক্সী। এতে মমতা মন্ত্রিসভার একটা অংশ ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হয়েছে । অভিষেক পন্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনই মনে করছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।