রাহুল গান্ধীকে গান্ডু বলা নিয়ে মোটেই অনুতপ্ত নন শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু অধিকারীর ব্যবহার করা শব্দ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে নানা দিকে। কংগ্রেস তো বটেই, বাংলার শাসকদল তৃণমূলও সুযোগ পেয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এটাকে বোকার চল্তি শব্দ হিসাবে কোনও খারাপ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে মনেই করছেন না।
সোমবার বিধাননগরে বিজেপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তিনি রাহুল গাঁধীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অসংসদীয় শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেন, আমি কি অসংসদীয় শব্দ বলেছি? যাঁরা আমার বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, কী বলেছেন তারা?”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাহুল গাঁধী সম্মানিত নেতা ,উনি নিজেকে জাতীয় নেতা বলেও দাবি করেন। এত দিনের সাংসদ। রাহুল গাঁধী বলছেন সকালবেলা উঠে আমরা স্টোভের ওপর কয়লা দিয়ে চা বানাই। এটা কি বাস্তব সম্মত কথা না বোকাদের কথা? বোকার মতো কথা বলেছেন বলে বোকাই বলেছি। বোকাকে পশ্চিমবঙ্গে যে চলতি ভাষায় বলে সেই শব্দ প্রয়োগ করেছি । এতে কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ বা কোনো অসংসদীয় বক্তব্য নেই।
উলেখ্য রবিবার নন্দীগ্রামে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে রাহুলের ন্যায় যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গত চার দিন ধরে এবিপি আনন্দ প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, রাহুল গাঁধী , রাহুল গাঁধী । কে হরিদাস পাল? ও তো একটা গান্ডু । এর পরেই রাহুল গাঁধীর স্টোভের উপর কয়লা দিয়ে সকালবেলা চা তৈরির কাহিনী বলেন।
বাংলার রাজনীতিতে কটু কথার অন্ত নেই। মমতা ব্যানার্জী যেমন মোদী,অমিত শাহ,জেপি নাড্ডা কে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলেন,ঠিক একই ভাবে যে শব্দটি শুভেন্দু অধিকারী ব্যবহার করেছেন সেটিকে ‘অশ্লীল’ বলেই ধরা হয় বাংলা ভাষায়।
তবে শুভেন্দু অধিকারী নিজের মন্তব্যের জন্য একেবারেই অনুতপ্ত নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকেই। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘হীরক রানি বাই বাই’ বলে একটি ভিডিয়ো ও একটি ওয়েবসাইটের (https://hirakranibyebye.com) উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই দুটিই বিজেপির হয়ে কাজ করবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ।
সোমবারও রাহুল গাঁধীকে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর কথায়, রাহুল গাঁধীকেও নিজের দিকটা ঠিক করতে হবে। উনি অনেক দিনের সাংসদ। অনেক বয়স হয়ে গেল, প্রায় আমার সমান বয়স, ৫৪ বছর।ওনাকে বুঝতে হবে এয়ারপোর্টে সব্জি বিক্রি হয় না। আটাকে লিটার না কেজি বলতে হয়। নিজেকে ঠিকঠাক না করলে সমালোচনা তো হবেই