দুর্নীতিবাজ বিনীত গোয়েলের পাওয়া জোড়া পদক কেড়ে নিতে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর!
আরজি কর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তাররা পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির জোড়া পুলিশ পদক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু একটি প্রস্তাব সহ চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। একই সাথে, তিনি আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, যার অধীনে রয়েছে দেশের পুলিশবাহিনী। উভয় চিঠিতেই শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিনীত ওই পুলিশি কৃতিত্বের পদক পাওয়ার ‘যোগ্য নন’। কারণ তাঁর নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশ আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে গুরুতর ব্যর্থ হয়েছে।
I have written a letter to the Hon’ble President of India; Smt. Droupadi Murmu Ji requesting her to withdraw/forfeit the prestigious President’s Police Medal and Police Medal conferred upon Shri Vineet Goyal; IPS, (West Bengal: RR – 1994), presently Commissioner of Police,… pic.twitter.com/uaNeQppibZ
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 5, 2024
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু নিজের প্রাক্তন টুইটার হ্যান্ডলে দুটি চিঠি পোস্ট করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন যে, পুলিশের কাজের স্বীকৃতি দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল’ এবং ‘পুলিশ মেডেল’ প্রদানের নিয়ম চালু করেছেন। কিন্তু এই মেডেলের কৃতিত্ব কেবল একজনের নয়, এটি সবসময় দলগত। সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে দলের পরিবর্তে দলনেতা, অর্থাৎ পুলিশের পদাধিকারীকে মেডেল দেওয়া হয়, সাথে বিভিন্ন সুযোগ, সুবিধা এবং আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৩ এবং ২০২৩ সালে বিনীত পুলিশের কৃতিত্বের জন্য এই দুটি সম্মান পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি মেডেলের মর্যাদা বজায় রাখতে পারেননি।
শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট যে, পুলিশ কমিশনার অপরাধস্থলের তথ্য ও প্রমাণ বিকৃত করে তদন্তে বাধা দিতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি ওই পদক ধারণের যোগ্য নন। তার কাজের ফলে নিজের নামের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ১৬৮ বছরের সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে।’’
এই প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিনীতকে দেওয়া দুটি পদক ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব করছি।” যুক্তি হিসেবে তিনি সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখ করে বলেছেন, “পদকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি অসততার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন অথবা কাজে কাপুরুষতার পরিচয় দেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে পদক ফেরত নেওয়া যেতে পারে।” এছাড়াও, শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন যে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই নির্দেশিকার বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। যেখানে বলা হয়েছিল, পুলিশি পদকের নির্দেশিকা অমান্য করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই যুক্তিতেই বিনীতের পাওয়া পদক দুটি ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন শুভেন্দু।