২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। এর পর থেকে বিরোধী দল বিজেপি ছেড়ে আবার শাসক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার উল্টো স্রোতও শুরু হয়েছে। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও বর্তমান তৃণমূলের সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারবে না,আগামী ২০২৪ সালে দেশের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এ রাজ্যে আবার বিধানসভা ভোট হবে বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
গতকাল বাঁকুড়ার সোনামুখীতে শুক্রবার বিজেপির ‘সঙ্কল্প যাত্রা’য় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘২০২৬ পর্যন্ত আর অপেক্ষা নয়, ২০২৪-এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এর আগেই দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সরকার রাজ্য চালাতে গিয়ে ‘আর্থিক দৈন্যতা’ ডেকে এনেছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তলায়,রাজ্যের কোষাগারের বেহাল দশার জন্যই এই সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।এরকম অসহায় অবস্থায় শাসক দলকে হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে এবং তখন বিধানসভা নির্বাচনও এগিয়ে আসবে।
শুভেন্দু অধিকারী এ দিন অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা যখন সামনে আসছে, তখন অন্য দিকে নজর ঘোরানোর নানা রকম অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যখন এই রাজ্যের বড় মন্ত্রী রগড়ানি খাচ্ছেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার জন্য হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন, তখন অর্জুন সিংহের নামে তিন দিন ধরে ‘টক শো’ হচ্ছে। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের কথা বলে প্রসঙ্গ ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য , বাম আমলে ১৯৯১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে বিধানসভা ভোট হতে এক বছর বাকি ছিল।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন , ‘‘বিজেপি ছেড়ে দলে দলে সব বেরিয়ে যাচ্ছে। দিল্লির কাছে রাজ্যে বিজেপির নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় সম্মান রক্ষার্থে এই রকম গাজর ঝুলিয়ে দল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন!উনি নিজেও জানেন, ও সব হবে না!’’