২৬-এই উল্টে যাবে বাংলার গদি, রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি,কর্মীদের ফর্মুলা বাতলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী!
বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত, পৌরসভা, লোকসভা এবং উপনির্বাচনে প্রতিবারই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। এর ফলে দলের অন্তর্গত দায় ঠেলাঠেলি থেকে কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেও দোষারোপ করা হয়েছে।
মাত্র দেড় বছর বাকি আছে। এরপরেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে, বিজেপিকে জয়ী করার এক ফর্মুলা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হলদিয়ায় এক দলীয় সভা থেকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে বার্তা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “রাজ্যে দুইটি কাজ করতে হবে। ভোটের আগে ভয় মুক্ত করো, নিজের মধ্যে শক্তি ধরো, নিজেকে জয়ী করো। ভয় দূর করতে হবে।” ভয় দূর করার উপায় বাতলে দেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, “উপদ্রুত এলাকাকে চিহ্নিত করতে হবে, পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করতে হবে। আর কী করা উচিত? কমিশনের উচিত নয় যে হাত-পা বেঁধে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক। এসওপি পরিবর্তন করুন।”
শুভেন্দু অধিকারী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ রাজ্যে ২০০ আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি ১০০ আসনের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি। পরবর্তী পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচনেও পরাজয় বরণ করে বিজেপি। এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনের লক্ষ্য থাকলেও মাত্র ১২ আসনে জয় পায় তারা। বিধানসভা উপনির্বাচনেও চারটি আসনে হেরে যায় বিজেপি ।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে ভোট পরিচালনা করা সত্ত্বেও বিজেপির এই পরাজয় নিয়ে দলের অন্তর্গত বিতর্ক চলছে। এতে দলের অন্তর্কলহ এবং মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। দায় এড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা সরাসরি রাজ্য নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিষয়ে হলদিয়া থেকে পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করার বিরুদ্ধে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষভাবে পাঠানোর দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।