সাত হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণের চেষ্টা মমতার , শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবিতে হৈচৈ !
রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে নেই টাকা,কিন্তু এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২১ শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই ১০০ দিনের বকেয়ার টাকা দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। তাই ৭ তারিখের আগে ৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণের জন্য আবেদন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অর্থ দফতরের লোকেরাই নোট পাঠিয়েছেন যে অতিরিক্ত ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদনের জন্য অর্থ দফতরের বাজেট সেলকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।শুভেন্দুর দাবি লোকসভা ভোটের আগে এই টাকা দিয়ে নির্বাচনী তহবিল গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস । রাজ্যের অর্থনীতিতে শেষ পেরেক পুঁতে গ্রামবাংলার ভোট নিয়ন্ত্রণের ছক কষছে রাজ্যের শাসক দল’, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ১০০ দিনের ২১ লক্ষ বঞ্চিত শ্রমিককে বকেয়া মেটানো হবে। তৃণমূলের চোরেরা সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮০ শতাংশ ভুয়ো বিল করে রেখেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের দল তদন্ত করলেই ভুয়ো বিল ধরা পড়বে। এটা শিক্ষা-কয়লা-গরু-রেশনের মতো বড়সড় দুর্নীতি, তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই তা স্পষ্ট হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, এই টাকা আসবে কোথা থেকে? অর্থ দফতরের লোকেরাই বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখের আগে অতিরিক্ত ঋণের আবেদন করতে বলেছেন। চোর ঠিকাদারদের সেই টাকা দিয়ে লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে মমতা ব্যানার্জী।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বলেছেন , মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের টাকা দেবেন বলেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের পার্টি কর্মী । রাজ্য সরকারের তো টাকাই নেই, দেবে কী করে? আর যদি দেয়ও কেন্দ্রের অন্য কোনও বরাদ্দের টাকা থেকে দিতে পারে। আইনগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী এভাবে টাকা দিতে পারেন না।
রাজ্য বিজেপি যেদিন তৃণমূলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে, সে দিনই আবার ক্যাগের(CAG) রিপোর্ট নিয়ে পাল্টা সুর চড়ায় রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পেরে না উঠেই বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের।