সন্দেশখালি ভুয়ো ভিডিওকাণ্ডে আইপ্যাক এবং ভাইপোর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে পুলিশও জড়িত ! বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী!
সন্দেশখালি কাণ্ডের স্টিং অপারেশনের ভিডিও নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোট পরিচালনা সংস্থা আইপ্যাকের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এর পেছনে পুলিশেরও হাত রয়েছে। শুভেন্দুর মতে, সন্দেশখালিতে তৃণমূলের প্রভাব নেই, সেখানে তৃণমূল মানে পুলিশ। তিনি সতর্ক করেছেন যে, এবার সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষই আন্দোলনে নামবেন। সোমবার বিকেলের মধ্যেই এ সংক্রান্ত খবর পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রকাশিত দুইটি স্টিং ভিডিও নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক হইচই দেখা গেছে। এই ভিডিওগুলিতে পদ্মশিবিরের স্থানীয় নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য বিজেপি এবং শুভেন্দুর জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু এই ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ অভিষেকের দিকে নির্দেশ করেছেন।
সন্দেশখালি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। রবিবার দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। অভিযোগটি হল, ভোটের সময় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা বিজেপির সাথে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন।
সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে নিয়ে শুভেন্দু অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সুকুমার মাহাতো চোর, এটা সবাই জানে। তার পিএ চাকরি দেওয়ার নামে কত টাকা নিয়েছে, সেই তালিকা আমার কাছে আছে। এই ধরনের কাজ যত বেশি করবে, তত বিচ্ছিন্ন হবে।” তিনি আরও দাবি করেছেন যে, সন্দেশখালিতে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্ত্বেও তাঁরা জিতবেন। তাঁর ভাষায়, “আমি শুধু সন্দেশখালি থেকে এক লক্ষ লিড দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার কপালে কী দুঃখ আছে, তা দেখে নেবেন।”
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উত্থাপিত ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রথম ভিডিওতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধরের মন্তব্য শোনা গেছে। তিনি বলেছিলেন, অভিযোগগুলি ‘টাকার বিনিময়ে’ করা হয়েছে এবং শুভেন্দুর প্রভাব ছিল বলেও তাকে বলতে শোনা গেছে। শনিবার রাতে প্রকাশিত দ্বিতীয় ভিডিওতে ভোটের জন্য কত অস্ত্র এবং মদ সরবরাহ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা ছিল। গঙ্গাধর সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের ‘সাহায্য’ করার দাবি করেছিলেন।