বেআইনি ও অসাংবিধানিক শপথের এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না হলে আমারও কিছু কাজ আছে, সেটা করব! শুভেন্দু অধিকারী!
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এটি একটি সম্পূর্ণ বেআইনি শপথ। অধ্যক্ষ সংবিধানের বাইরে কাজ করেছেন। রাজ্যপাল এই বিষয়টি রাষ্ট্রপতির নজরে আনার কথা বলেছেন। যদি এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার করণীয় কিছু কাজ আছে, যা আমি করব।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এত ইগোর কি দরকার ছিল, রাজভবনে গিয়ে শপথ নেওয়ায় কি সমস্যা ছিল?” এই প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, “রাজ্যপাল বলেছিলেন ডেপুটি স্পিকারের মাধ্যমে শপথ পাঠ করানো হোক। তা কেন করা হলো না? এত অহংকার কেন? সংবিধানের উর্ধ্বে কেউ নেই, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই যেন চূড়ান্ত। এমন চলতে পারে না।”
শপথ-জট কাটলেও, একই সাথে আরেক জট তৈরি হয়েছে। শপথগ্রহণ নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। বরানগরের উপ-নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারের বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। রাজ্যপালের তরফে শুক্রবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। অসংবিধানিক শপথ।’
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পাঠের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে স্পিকার কীভাবে শপথ পাঠ করালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ পাঠ করাবেন না। তবে শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার স্পিকারের নাম প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের দুই জয়ী প্রতিনিধিকে বিধায়ক হিসেবে শপথ পাঠ করান। বিজেপি শুক্রবারের অধিবেশন বয়কট করেছে, কিন্তু শপথ পাঠ হওয়ার পর আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বিধানসভায় প্রবেশ করেন।