চাকরি বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সবপক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এদিনও SSC মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। এর মধ্যে ২ সপ্তাহ পর সব পক্ষকে ফের পালটা হলফনামা জমা দিতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে নোডাল অ্যাডভোকেট বেছে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা দুসপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ করবেন.
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি, রিট পিটিশনার অর্থাৎ যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, সেই পক্ষ। এছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তাঁদের বক্তব্য, সিবিআইয়ের বক্তব্য এবং যাঁদের নথি যাচাই হয়নি, তাঁদেরও মতামত শোনা হবে। এই সব পক্ষের বক্তব্য জানাতে ‘নোডাল অ্যাডভোকেট’ ঠিক করা হয়েছে, যাঁরা দুসপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে শীর্ষ আদালতে পেশ করবেন। শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ লিখিতভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাদের বক্তব্য জানাতে পারবে, তবে তা পাঁচ পাতার মধ্যেই রাখতে হবে।
২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অভিযোগ ছিল যে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে ২৫ হাজার ৭৬৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এই চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার রায়ে চাকরি বাতিল করা হয় এবং চাকরিজীবীদের বেতনও ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনকারীরা শীর্ষ আদালতে গেলে, সেখানে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেওয়া হয়।
গত ৭ মে এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে প্রধান বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ১৬ জুলাই। এদিন সবপক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে আজ সেই বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য নোডাল অ্যাডভোকেট ঠিক করে দেওয়া হল। তিন সপ্তাহ পর, মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।