‘অভিষেক দুর্নীতিতে জড়িত, তাকে গ্রেফতার করা উচিত’ – সংসদে ঝড় তুললেন সৌমিত্র খাঁ !
সংসদে বক্তব্য রেখে সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) লক্ষ্য করেন। তিনি বলেন, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ যেহেতু দুর্নীতিতে জড়িত, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। এই মন্তব্যের পর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশংসা জানান।
সংসদে সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র আক্রমণ চালান এবং বলেন, ‘অভিষেক দুর্নীতিতে জড়িত, তাকে গ্রেফতার করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির জন্য অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত।’ এই মন্তব্যের জন্য বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রশংসা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘খুব ভাল বলেছেন।’ এছাড়াও তিনি X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কাচের ঘরে থেকে অন্যের দিকে পাথর ছোড়া উচিত নয়।’ শুভেন্দু মনে করেন যে অভিষেককে সৌমিত্র খাঁ সঠিক জবাব দিয়েছেন।
As the saying goes; “people who live in glass houses shouldn’t throw stones”.
I thank my brother Saumitra Khan for returning the favour on the floor of the Parliament.
Well said brother:- pic.twitter.com/N1MUanVqJV— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 26, 2024
বুধবার সংসদে বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে উল্লেখ করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ, নাম না করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্যার, এবার আমি D-এ আসছি। বঞ্চিত, যেমন মাননীয় সদস্য তাঁর স্ত্রীকে বঞ্চিত করেছেন। স্যার, D ফর ডিপ্রাইভ।” এরপর, বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ নিজের আসন থেকে উঠে আসেন এবং সংসদে তুমুল হইচই শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে, স্পিকারের চেয়ারে থাকা বিজেপি সাংসদ দিলীপ সইকিয়া বলেন, যে কেউ যিনি এই সংসদের সদস্য নন, তাঁর বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা নিজে এগিয়ে আসেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর বিতর্ক হয়।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আদালতে স্বস্তি পেয়েছেন। সোনামুখী থানায় দায়ের করা FIR অনুযায়ী চলমান মামলাটি বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ খারিজ করেছেন। ২০২৩ সালে এক অশান্তির ঘটনায় সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা প্রচার, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সৌমিত্র খাঁ নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন, এবং সেই মামলায় এই নির্দেশ প্রদান করা হয়।