‘এই টাকা নিলে অভিশাপ লাগবে…’, মমতার দেওয়া অনুদান সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার গ্রহণ করবে না, পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।
উত্তর কলকাতার বিখ্যাত দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অন্যতম। গত বছর, তারা অযোধ্যার রামমন্দিরের আদলে এক অভিনব পুজো মণ্ডপ নির্মাণ করে সকলের নজর কেড়েছিল। রামমন্দিরের সেই অনুকরণ দেখতে ভিড় জমেছিল প্রচুর। এই বছর, পুজো মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে দেওয়া অনুদান গ্রহণ করবেন না।
আজ, মঙ্গলবারে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিদের সাথে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন যে, এই বছর ক্লাবগুলির জন্য অনুদান ১৫ হাজার টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ, গত বছর দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে যে ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল, এবার তা বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা হয়েছে। ৪৩ হাজারেরও বেশি ক্লাব এই অনুদান পাবে। তবে এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি সেই অনুদান ফেরত দিয়েছে।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজোর প্রধান উদ্যোগপতি হলেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ডিএ বা চাকরি প্রদানে অক্ষম। অপরদিকে, ক্লাবগুলিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে ভোটের সময় সাহায্য করার পথ তৈরি করছে। সজল ঘোষ জানিয়েছেন, মানবিক কারণে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এই অনুদান গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার ধন্যবাদ, কারণ তিনি পুজোর বিষয়ে ভেবেছেন। আমরা অনুদানের টাকা গ্রহণ করেছিলাম যখন তা মাত্র হাজার দশেক ছিল। সেই সময়ে ডিএ বা চাকরির দাবিতে কেউ রাস্তায় বসে থাকত না, মেয়েরা মাথা কামাতেন না। কিন্তু আজ, যখন তারা বছরের পর বছর রাস্তায় বসে আছে, এই টাকা নিলে তাদের উপর অভিশাপ আসবে না।”
সজল ঘোষের মতে, “এই অর্থ দিয়ে সরকার বহু বছরের ডিএ প্রদান করতে পারত। এই টাকা দিয়ে অনেকের চাকরি ও বেতন নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। ইতিহাসে নিজের নাম রাখার জন্য তিনি এসব করছেন।” উল্লেখ্য, এই বছর মাত্র নয়, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের দুর্গাপূজায়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদান ফেরত দিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষ।