১৯৭৮ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর বন্ধ হওয়া উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার একটি প্রাচীন মন্দিরের দরজা সম্প্রতি পুনরায় খোলা হয়েছে। পিটিআই সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে জানা গেছে, শাহি জামা মসজিদের কাছের এলাকায় অবৈধ দখল এবং বিদ্যুৎ চুরি প্রতিরোধের অভিযান চলাকালীন মন্দিরটি খোলা হয়। অভিযানের সময়, কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মন্দিরে একটি হনুমান মূর্তি ও শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে স্থানীয় হিন্দুরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং তারপর থেকে ভস্ম শঙ্কর মন্দিরের দরজা বন্ধ ছিল।
সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা মিশ্র এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছিলেন। তিনি জানান, অভিযানের সময় তারা একটি মন্দির আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই এবং আমরা সবাই মিলে মন্দিরটি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেই। মন্দিরের পাশে একটি কুয়োও রয়েছে, যা আমরা পুনরায় খুলতে চাই।’
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে একটি মসজিদের ঘটনা। উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর সম্ভল এলাকায় শাহি জামা মসজিদের একটি নতুন সমীক্ষা শুরু হয়। আদালতের নির্দেশে মুঘল আমলের এই মসজিদে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। রবিবার সকাল ৬টায় সমীক্ষক দলের সদস্যরা এলাকায় পৌঁছান। দলে ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া, পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরী, এবং তহসিলদার রবি সোনকর। সমীক্ষার সময় কোনও অশান্তি না হয়, সেজন্য পুলিশের বড় বাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল।
যখন সমীক্ষকরা পুলিশের সাথে ওই এলাকায় পৌঁছান, তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয় এবং হিংসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে এবং গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে যে, হামলাকারীরা গুলি চালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন বন্দুকের ব্যবহৃত বুলেটের শেল উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।