আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজন সন্দেহভাজন ধরা পড়েছে। তাঁরা কে? খুঁজছে সিবিআই !
সিবিআই খুঁজছে যে ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত সহ কয়েকজন অন্যান্যদের দেখা গেছে, যা মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাদের পরিচয় অজানা। সিবিআই বলেছে, সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান এবং ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
আরজি কর হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঘটনার পরপরই পুলিশ আটক করেছে, যাকে এই অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এছাড়াও, সম্প্রতি সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে শুনানির সময় সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজের প্রসঙ্গ তোলে।
হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, আরজি কর মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই গ্রহণ করে। এরপর, টালা থানা থেকে জব্দ করা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিবিআই আদালতকে জানায়, ওই সব ফুটেজ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা ফুটেজ পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্ট প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার আদালতে সিবিআই দাবি করেছে যে, ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃত্যুর দিন থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে অধিকাংশ কথোপকথন হয়েছে, যা কল রেকর্ডে দেখা গেছে। তারা কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও বারবার কথা বলেছেন, যার বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত প্রয়োজন। টালা থানার সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা সিবিআই জানিয়েছে। এই ঘটনায় গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে সিবিআই শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে।