সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের! আবেদন শুনতেই খারিজ করে দিলো শীর্ষ আদালত?
সন্দীপ ঘোষের আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। “এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই, কোনো জায়গায় নেই,” বলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ওই মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাই তাঁর বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত। শনিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানায়, “এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই, আপনি হস্তক্ষেপের জায়গায় নেই। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তদন্ত চলছে, আমরা সিবিআইয়ের কাছে আরও তথ্য চেয়েছি।”
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তবে হাসপাতালের ‘বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট’ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
আদালতে যে কথোপকথন চলেছে, তার বিবরণ নিম্নরূপ।
প্রধান বিচারপতি: আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে, যা হাই কোর্টের নজরদারিতে তদন্তাধীন আছে।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন সন্দীপের আইনজীবীর উদ্দেশে: অভিযুক্ত হিসেবে আপনার মক্কেলের অবস্থান কী গ্রহণযোগ্যতা পায়?
সন্দীপের আইনজীবী: আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও, চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ রয়েছে। তাহলে জনস্বার্থ মামলায় তাঁর নাম কেন আসে?
সন্দীপের আইনজীবী: সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে আমার মক্কেল বিরোধী নন। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ যে আমার মক্কেল দুর্নীতি চক্রে জড়িত, তা সত্য নয়। এই মন্তব্য ক্ষতিকারক।
প্রধান বিচারপতি: এটি হাই কোর্টের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। তদন্ত চলমান এবং আমরা সিবিআইয়ের কাছে তথ্য চেয়েছি।
সন্দীপের আইনজীবী: আমিও চাই সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
প্রধান বিচারপতি: একজন অভিযুক্ত কি এমন বলতে পারেন?
সন্দীপের বিরুদ্ধে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি করেছিলেন। আদালতে সন্দীপের আইনজীবী তাঁর প্রসঙ্গ তুলেছেন। প্রধান বিচারপতি জানান, আখতারকে এখনও আদালত ক্লিনচিট দেয়নি। তবে সন্দীপের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। এরপর মামলা খারিজ করা হয়েছে।