সন্দীপ এবং অভিজিৎকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছে গেল সিবিআই, জুতো হাতে স্লোগান আমজনতার!
আরজি কর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। সিবিআই শনিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছে। রবিবার সিবিআই আদালতে সন্দীপের হেফাজত চাইবে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে এবং বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠছে।
আর জি করে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট এবং অপরাধস্থল বিকৃতির অভিযোগে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাতে বি আর সিং হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। রবিবার সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই সদর দপ্তর থেকে তাঁকে বের করে আদালতে পেশের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় সিজিও কমপ্লেক্সের মূল ফটকের বাইরে কিছু বিক্ষোভকারী জড়ো হন, কারও হাতে নির্যাতিতার ছবি সম্বলিত পোস্টার, কারও হাতে জুতো। প্রতিবাদকারীরা স্লোগান তুলে ধরেন। মাঝে মাঝে তাদের গলা থেকে শোনা যায়, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আর জি করের বিচার চাই’। কখনো কখনো ‘কলকাতা পুলিশ হায় হায়’ স্লোগানও উঠে। কিছু কিছু ব্যক্তি সিপির পদত্যাগের দাবিও জানান। বিধাননগর পুলিশ যখন প্রতিবাদকারীদের সরানোর চেষ্টা করে, তখন তাদের বিরুদ্ধেও স্লোগান শুরু হয়। তবে কঠোর নিরাপত্তায় ধৃত ব্যক্তিকে নিয়ে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে তোলা হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সন্দীপকে তৎকালীন অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হয় সন্দীপকে। এর পর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এ বার ধর্ষণ এবং খুনের মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।
আরজি কর হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি সিবিআই-এর হেফাজতে আছেন। শনিবার, সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও পুলিশ আটক করেছে। সিবিআই অনুযায়ী, সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধানের ২৩৮, ১৯৯ এবং ৬১ (২) ধারায় প্রমাণ নষ্ট, অপরাধীকে সাহায্য করা, সরকারি কর্মী হিসেবে আইন অমান্য এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে।