মোড় ঘুরিয়ে দিল কেস ডায়েরি! টালা থানার ওসি-র উত্তরেই ফাঁস সব, এবার স্ক্যানারে ‘বড়’ কেউ?
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছে। এই মামলার তদন্তে এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে টালা থানার ওসি-র কেস ডায়েরি ।মোড় ঘুরিয়ে দিল কেস ডায়েরি!
গত শনিবার টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারের পর, সিবিআই এখন ধর্ষণ ও খুনের মামলার ডাইরির দিকে নজর দিচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআই স্ক্যানারে আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন।
সিবিআই অভিযোগ করেছে যে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে প্রথম থেকেই দেরি হয়েছে। এছাড়াও, টালা থানা তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করে এবং সিবিআই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
আরজি কর ঘটনায় প্রথমে যখন একজন সাব-ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল, তখন কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হল না, তা নিয়ে ওসি অভিজিৎ মণ্ডল শনিবারের জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর দিতে পারেননি। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়। সিবিআই দাবি করেছে যে, জেনারেল ডাইরিতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।
রবিবার দুই জনকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়েছে। এদিন টালা থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “সকাল ১০টায় খবর পাওয়া সত্ত্বেও রাত ১১:১৩ নাগাদ অভিযোগ দায়ের কেন করা হল? এফআইআর দায়ের করতে এত দেরি কেন হল? ওসি কাকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন? এই সময়ের মধ্যে অনেক তথ্য লোপাট হয়ে গেছে বলেই সিবিআই অনুমান করছে।”
টালা থানা থেকে আরজিকর হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। তবে এই ছোট দূরত্ব সত্ত্বেও এফআইআর দায়ের করতে এত দেরি হল কেন, এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে।
টালা থানার ওসির আইনজীবী যদিও দেরিতে এফআইআর দায়েরের কথা স্বীকার করেন, তবুও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা জামিন যোগ্য। অভিজিৎকে যখনই ডাকা হয়েছে, তিনি উপস্থিত হয়েছেন, এবং নোটিশে তাকে অভিযুক্ত বলা হয়নি। অ্যারেস্ট মেমোতে কোনও আত্মীয়ের সই নেই, এবং হেফাজতে রাখা হলে তাকে বাধ্যতামূলক সাসপেন্ড করা হবে। তাই অতি শীঘ্রই তাকে জামিন দেওয়া উচিত।