টালা থানার ওসিকে কেন গ্রেফতার করলো সিবিআই ? আদালতে সাতটি কারণ ব্যাখ্যা করল সিবিআই!
আর জি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে শনিবার রাতে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতে তাঁর আইনজীবী সিবিআইয়ের গ্রেফতারি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সময় বিচারকের সামনে সিবিআই গ্রেফতারির পক্ষে সাতটি কারণ তুলে ধরে।
তথ্য নষ্ট, দেরিতে এফআইআর দায়ের, এবং ঘটনাস্থল পরিবর্তনের মতো নানা অভিযোগ ছিল অভিজিতের বিরুদ্ধে। তদন্তে অবহেলা করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল। সেই অভিযোগ অনুযায়ী, সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডেকে সিবিআই বেশ কয়েকবার জেরা করেছে। শনিবার অভিজিৎ সিজিও গিয়েছিলেন, এবং প্রায় সাত ঘণ্টা জেরা করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিজিৎ ছাড়াও, একই অভিযোগে সিবিআই শনিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে। দুজনকেই শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।
শুনানিতে অভিজিতের গ্রেফতারের বিষয়ে তাঁর আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “কর্তব্যে গাফিলতি হতে পারে, এবং সেক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত সম্ভব। কিন্তু ওসি সম্পর্কে সিবিআই কিছু বলতে পারে না।” অভিজিতের গ্রেফতারি নিয়ে সিবিআই আদালতে সাতটি কারণ ব্যাখ্যা করেছে। সিবিআই মনে করে যে আরজি কর কাণ্ডে একটি ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ ঘটেছে। তদন্তকারীরা ঘটনার দিন দেহ উদ্ধারের পর সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে ফোনে কথা বলার বিষয়টি প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
যে সাত সন্দেহের কারণে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে-
১. ৯ অগস্ট সকাল ১০টা ০৩ মিনিট নাগাদ সন্দীপের থেকে খবর পান টালা থানার তৎকালীন ওসি। খবর পাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি।
২.দ্রুত ঘটনাস্থল ঘেরার কাজ করতে ব্যর্থ হন ওসি।
৩.অভিযোগ পাওয়ার অনেক পরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
৪.ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা আইন অনুয়ায়ী ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়নি।
৫.দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের দাবিকে অগ্রাহ্য করে খুব তাড়াতাড়ি তাদের মেয়ের দেহ দাহ করিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশই উদ্যোগী হয়ে সেই কাজ করে।
৬.মৃত্যুর শংসাপত্র দেরি করে দেওয়া হয়েছিল ।
৭. নির্যাতিতা মৃত জানার পরেও কেন অচৈতন্য অবস্থার কথা লেখা হলো ।
সিবিআই অনুমান করছে যে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মিলে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ঘটানো হয়েছে।