দুর্নীতির অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একে একে জামিন পাচ্ছেন। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডলের মুক্তি আসন্ন। গত শুক্রবার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এর ফলে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন প্রসঙ্গে বিভিন্ন মহলে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। একই মামলায়, গত দুই বছর ধরে জেলে আছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা প্রমুখ। অভিযুক্তরা দীর্ঘ সময় ধরে জামিনের আবেদন করে আসছেন। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিন মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
সিবিআই দাবি করেছে যে, অভিযুক্তরা তাদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে বারবার দুর্নীতি করেছে। পার্থদের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই জোরালো যুক্তি পেশ করেছে। তারা বলেছে, “চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা”, এই প্রবাদ অনুসারে অভিযুক্তরা নিয়োগ দুর্নীতিতে দিনের পর দিন দুর্নীতি চালিয়ে গেছে। যারা চেয়ারে ছিলেন না, তারাই শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিতে আসল ‘ম্যাজিক’ দেখিয়েছে, আদালতে সিবিআই এর দাবি।ই।
দুই পক্ষের যুক্তি শুনে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন, “অভিযুক্তরা জামিন পেলে কি তারা আবার তাদের পদ ফিরে পাবে? যদি না পায়, তাহলে আপনাদের আশঙ্কা কী?” জবাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী বলেন, “আশঙ্কা হলো, তাদের ছেড়ে দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। এরা সবাই প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। এছাড়াও, সরকার এখনও অভিযুক্তদের তদন্তে সম্মতি দেয়নি।”ইডি ২০২২ সালের ২২ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। পার্থ এবং তাঁর বান্ধবীর ফ্ল্যাটে অসঙ্গতিপূর্ণ পরিমাণে টাকা পাওয়া যায়, যা তাদের আয়ের সাথে মিলছিল না। এই কারণে পার্থ এবং তাঁর বান্ধবী গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর নাম জড়িত হয়। এরপর থেকে পার্থ জেলে আছেন। দুর্নীতির জন্য পার্থকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয় এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দল থেকেও বাদ দেন।