পদ্ম পুরস্কার পেয়ে কি প্রতিক্রিয়া দিলেন ‘বড়লোকের বিটিলো’ খ্যাত শিল্পী রতন কাহার ও মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী !
হ্য়াঁ, তিনিই সেই ‘বড়লোকের বিটিলো’ খ্যাত শিল্পী।এবার পদ্মশ্রী পাচ্ছেন বীরভূমের লোকশিল্পী রতন কাহার। যার সেই গান ২০২০তে ‘গেন্দা ফুল’ মিউজিক ভিডিয়োতে ব্যবহার করেছিলেন বাদশা। সেই ঘটনা ঘিরেই চরম বিতর্ক তৈরি হয়। কারণটা এতদিন অনেকেই জানেন। প্রথমে বাদশা ‘বড়লোকের বিটিলো’র মূল শিল্পী রতন কাহারকে কৃতিত্ব দেননি। আসলে বাদশার জানাই ছিল না গানটি আসলে রতন কাহারের। পরে জানার পর তিনি নিজের মিউজিক ভিডিয়োতে রতন কাহারের কৃতিত্ব স্বীকার করেন। ভুলের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। ‘গরিব’ শিল্পী রতন কাহারের পাশে দাঁড়াতে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন।
বাদশার জন্য তৈরি হওয়া সেদিনের সেই বিতর্কের কারণে অনেকেই সেদিন রতন কাহারের কথা জেনেছিলেন। তাঁর সৃষ্টি, কৃতিত্ব, গান, শিল্পীসত্ত্বার কথা জেনেছিলেন বহু মানুষ। আর এবার ২০২৪-এ ‘পদ্ম’ পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন রতন কাহার। আর এবিষয়েই রতন কাহার বলেন, ‘সত্য়ি কথা বলতে কি জানেন, আমার কথা কেউ ভাবে না। ভারত সরকার ভেবেছে। জীবনের শেষ পর্যয়ে এসে আমাকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে, এটা আমার কাছে গর্বের। আমি ধন্য। আমি পুরস্কার নিতে অবশ্যই যাব।’ বাদশার কথায় আবেগতাড়িত রতন কাহার বলেন, ‘বাদশা খুবই ভালো লোক। উনিই আমায় ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। গানের জগতে এতদিন আছি, আমার কাছে অনেকেই অনেক কিছু নিয়েছেন, অনেকেই দাম দেননি। আমার গান নিয়েই অনেকে আজ বড় মাপের শিল্পী হয়েছেন। তবে বাদশা সত্য়িই অমায়িক। উনি সবটা জেনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
এদিকে পদ্মভূষণ সম্মান পেয়ে এদিন প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান মিঠুন চক্রবর্তী৷ ভিডিও বার্তায় মিঠুন চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘আমি গর্বিত, আমি আনন্দিত এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য। আমি আমার জীবনে কখনও নিজের জন্য কারোর কাছ থেকে কিছু চাইনি। তাই কিছু না চেয়ে পাওয়ার যে আনন্দ আজ যে কতটা হচ্ছে আজ তা উপলব্ধি করছি।’’
মিঠুন এ-ও বলেন, ‘‘পুরস্কার পাওয়ায় দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। এই সম্মান দেশ এবং বিদেশের আমার ফ্যান এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসর্গ করছি। যাঁরা এতদিন ধরে আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছেন এবং এখনও ভালবেসে চলেছেন। আমাকে যে সম্মান দেওয়া হল, সেই সম্মান পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। যাঁরা আমাকে মনোনীত করলেন, তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা রইল।’’